যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর ফরিদপুরের নগরকান্দায় ছাগল পালনের ঘরে তালাবদ্ধ থাকা ৮০ বছর বয়সি সেই বৃদ্ধা মা সবজান খাতুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির। 

তিনি সোমবার দুপুরে সবজান খাতুনের বাড়িতে যান এবং এ সময় তিনি বৃদ্ধা মা সবজান খাতুনের খোঁজখবর নেন। এ সময় সার্বিক সহযোগিতা প্রদানসহ তার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। এ সময় ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়ে বৃদ্ধার ছেলে আবুল কালাম পালিয়ে যায়। তবে পুত্রবধূ নাসিমা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বহুল প্রচারিত ও জনপ্রিয় পত্রিকা যুগান্তরের ২য় পৃষ্ঠায় ১০ মার্চ তারিখে ‘নগরকান্দায় ছাগলের ঘরে মায়ের স্থান!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদটি প্রকাশের পর সোমবার সেই অসহায় বৃদ্ধা মায়ের বাড়িতে হাজির হন নগরকান্দার ইউএনও। 

দীর্ঘদিন ধরে ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধা মা সবজান খাতুনকে ছাগল পালনের একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন তারই ছেলে আবুল কালাম শেখ। পুত্রবধূ ও সন্তান বিভিন্ন সময়ে বৃদ্ধা সবজান খাতুনকে নানান রকম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন। তাকে ঠিকমতো পরিচর্যা না করে সব সময় ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখতেন। বৃদ্ধা সবজান খাতুন নগরকান্দা উপজেলার শহিদনগর ইউনিয়নের দেলবাড়িয়া গ্রামের মৃত হামিদ শেখের স্ত্রী।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির যুগান্তরকে বলেন, সোমবার ঘটনাস্থলে আমি নিজে গিয়েছি। অসহায় বৃদ্ধা মায়ের খোঁজখবর নিয়েছি। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা স্যারের নির্দেশে তাকে তাৎক্ষণিক নগদ টাকা, ইফতার সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও তার বসবাসের সুবিধার্থে, মায়ের বসতঘর মেরামতের জন্য ঢেউটিন, ফ্যান ও লাইট প্রদান করা হবে। বৃদ্ধা মায়ের জন্য বয়স্কভাতার ব্যবস্থা করা এবং  চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হবে। পর্যায়ক্রমে আরও সাহায্য সহযোগিতা করা হবে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করব।