ডাকাতি করে পালানোর সময় যুবলীগ নেতাসহ ৫ ডাকাত গ্রেফতার
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ডাকাতি শেষে পন্টুনসহ ভেকু মেশিন নিয়ে নদীপথে পালানোর সময় দুটি দেশীয় পিস্তলসহ যুবলীগ নেতা ও সন্ত্রাসী রাইফেল মহিউদ্দীনসহ (৩৮) পাঁচ ডাকাত গ্রেফতার হয়েছে। এ সময় ২টি দেশীয় পিস্তল, ৩৭ রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিন ও বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে বরিশালের নাজিরপুর নৌ-পুলিশ।
সোমবার সকালে মুলাদী উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর এলাকার আড়িয়ালখাঁ নদ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতি করা একটি খননযন্ত্র (ভেকু) ও পন্টুনসহ দুটি ট্রলারযোগে পালাচ্ছিল তারা।
বিকালে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মুলাদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ মার্চ বিকালে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ইটভাটা থেকে পন্টুন ও ভেকু ডাকাতি করে তারা।
গ্রেফতারদের মধ্যে মহিউদ্দীন ওরফে রাইফেল মহিউদ্দীন (৩৮) বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুরের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা। তিনি ওই এলাকার আজাহার মুন্সীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়া বাকি চার আসামি হলেন- বিসিসির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল হাওলাদারের ছেলে হাবিব (২৩), বরিশালের গৌরনদীর সরিকল ইউনিয়নের কাণ্ডপাশা গ্রামের ইদ্রিস ফকির (৫৫), বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চরফতেহপুর গ্রামের মৃত মালেক আকনের ছেলে ফিরোজ আকন (৪২) এবং আগরপুর ইউনিয়নের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের ফরিদ ব্যাপারীর ছেলে সায়েম ব্যাপারী (২২)।
গ্রেফতার আসামিদের বরাত দিয়ে নৌ-পুলিশ জানায়, গত ৮ মার্চ ডাকাতি করা ওই ভেকু ও পন্টুন মাদারীপুরের কালকিনির কয়ারিয়া ইউনিয়নের জনৈক নূর মোহাম্মাদ মোল্লার ইটভাটায় রাখা হয়। রোববার দিবাগত রাতে পন্টুনের উপর ভেকু তুলে দুটি ট্রলারে চড়ে ২০-২২ জন ডাকাত মাদারীপুরের কালকিনি থেকে বাবুগঞ্জের দিকে পালাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তখন আড়িয়াল খাঁ নদে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজন ডাকাত পালিয়ে গেলেও ট্রলার ও অস্ত্রসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মুলাদী থানার ওসি জহিরুল আলম বলেন, ২টি দেশীয় পিস্তল, ম্যাগাজিন, ৩৭ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু রামদা, চাপাতি, ড্যাগারসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
