Logo
Logo
×

সারাদেশ

বরখাস্ত এসপিকে হাজতে নেওয়ার সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা

Icon

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম

বরখাস্ত এসপিকে হাজতে নেওয়ার সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা

নাটোরে স্ত্রীর যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় বরখাস্তকৃত ময়মনসিংহ রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম ফজলুল হকের জামিন আদালত নামঞ্জুর করার পর কোর্ট হাজতে নেওয়ার সময় ছবি তোলায় তিনি সাংবাদিকের ওপর হামলা চালান।

ফলে জেলা শহরের সব সাংবাদিক ও ক্যামেরাপারসনরা কোর্ট হাজতের সামনে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য এসে সাংবাদিকদের দাবি মেনে কারাগারে নিয়ে যান।

মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ মুশফিক হাসান জানান, বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হককে আসামি করে গত বছর ১০  অক্টোবর নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তার স্ত্রী মেহেনাজ আক্তার আমিন। এ মামলায় ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর হাজতে না রেখে কোর্ট পুলিশ তাকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের কক্ষে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সাংবাদিকরা সমবেত হলে সেখান থেকে তাকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। হাজতখানায় নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান এসএম ফজলুল হক।

এ সময় এখন টেলিভিশন, সময় টেলিভিশন ও এনটিভির ক্যামেরাপারসন হাতে আঘাত পান। এ ঘটনা জানাজানি হলে নাটোরের কর্তব্যরত সব সাংবাদিক আদালত চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সাংবাদিকরা দাবি করেন, অন্য আসামিদের মতো এসপি ফজলুল হককে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মুখের মাক্স খুলে ও মাজায় দড়ি বেঁধে তাকে কারাগারে নিয়ে যেতে হবে।

এ সময় কোর্ট হাজতের সামনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে বেলা ৩টার দিকে বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্যের উপস্থিতিতে আসামিকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মুখের মাক্স খুলে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সাংবাদিকরা এ সময় ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেন।

এখন টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, আসামিকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের কক্ষে থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় আমরা ভিডিও ফুটেজ নিচ্ছিলাম। হঠাৎ আসামি আক্রমণাত্মক হয়ে হামলা করে ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টা করে। এ সময় সময় টিভির সাংবাদিক আল মামুন ও তিন ক্যামেরাপারসন আহত হন।

নাটোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহমেদ রফিক বাবন জানান, ঘটনার পর সাংবাদিক নেতারা নাটোর জেলা জজ ও নাটোরের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অভিযুক্ত বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেছেন, এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে কোর্ট পুলিশের কোনো গাফিলতি পাওয়া গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাটোর এসপি সাংবাদিক যৌতুক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম