Logo
Logo
×

সারাদেশ

শ্লীলতাহানির পর ছাত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেল চলন্ত অটোতে থাকা বখাটেরা

Icon

নেত্রকোনা ও খালিয়াজুরী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম

শ্লীলতাহানির পর ছাত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেল চলন্ত অটোতে থাকা বখাটেরা

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় শ্লীলতাহানি ও চলন্ত অটোরিকশায় বখাটেরা টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবার করা মামলায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

এদিকে আহত ওই ছাত্রীকে সিলেটে একটি হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার হাত-পা ও শরীরের অনেকাংশের চামড়া উঠে গেছে। এছাড়া মাথায়ও ব্যাপক জখম হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- খালিয়াজুরী সদরের কুঁড়িহাটি এলাকার মৃত হাবিব মিয়ার ছেলে মো. মিজান মিয়া (৩০) ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে অটোচালক নাজমুল (২৮)।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার, পুলিশ ও এলাকাবাসী সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়ার জন্য অটোরিকশায় চড়ে গ্রামের বাড়ি থেকে উপজেলা শহরে যাচ্ছিল। পথে হাওড়ের নির্জন স্থানে অটোরিকশায় থাকা মিজান মিয়া ওই ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এতে বাধা দিলে ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে মিজান। পরিস্থিতি খারাপ দেখে নেমে যাওয়ার জন্য অটোরিকশা থামাতে বলে ওই ছাত্রী।

নেমে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীর জামা টেনে ধরেন মিজান এবং অটোরিকশাটি দ্রুত চালাতে চালককে নির্দেশ দেন। এতে চালক দ্রুতগতিতে চলতে শুরু করলে অটোরিকশায় ঝুলে থাকে ওই ছাত্রী। ফলে পাকা রাস্তার ঘষায় তার হাত, পা, মাথাসহ শরীরের নানা অংশের চামড়া উঠে যায়। গুরুতর জখম হয় ওই ছাত্রী। একপর্যায়ে  তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে এলে ওই দুইজন চলে যায়। পরে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই ছাত্রীকে ময়মনসিংহ রেফার্ড করেন।

এদিকে এ ঘটনা মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন। পরে রাতেই অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, শ্লীলতাহানির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মেয়েটা অটোরিকশা থেকে নেমে যেতে চেয়েছিল; কিন্তু বখাটেরা জামা টেনে ধরে অটোরিকশা চালিয়ে দেয়। ঝুলিয়ে নিয়ে যায় অনেকটা পথ। পাকা রাস্তায় লেগে হাত, পা, মাথাসহ শরীরের অনেক অংশের চামড়া উঠে বড় বড় ক্ষত হয়ে গেছে। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তবে আমাদের চেনাজানা চিকিৎসক থাকায় সিলেট নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার ঘটনা হয়েছে, তারপর কেউ মেয়েটার খবর নেয়নি। একবার দেখতেও কেউ আসেনি। এখন অভিযুক্তদের আটক করার পর নেতারা বিষয়টা সমাধান করবে বলে রিকুয়েস্ট করতেছে, যেন মামলা না হয়। আমি চাই অপরাধীদের বিচার হোক। 

বুধবার বিকালে খালিয়াজুরী থানার ওসি মো. মকবুল হোসেন এ তথ্য নিয়ে নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার রাতে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযুক্তদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। আটকদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম