তানোরে সংঘর্ষে বিএনপিকর্মী নিহত
হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি সাবেক মেয়র

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
-67d2e021084c8.jpg)
রাজশাহীর তানোরে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথিকে বরণ করা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গনিউল হক নামে এক বিএনপিকর্মীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার মধ্যরাতে তানোর থানায় মামলাটি করেন নিহত গনিউল হকের বড়ভাই মোমিনুল হক।
মামলায় মোট ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার এক নম্বর আসামি রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। তাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
মঙ্গলবার তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ওই ইফতারে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন মিজানুর রহমান। আর প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে শরীফ উদ্দিন আসার আগে তাকে বরণ করে নিতে বিএনপির দুপক্ষের নেতাকর্মীরা আগে থেকেই কৃষ্ণপুর মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন। ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোমিনুল হকের অনুসারীরা প্রধান অতিথিকে বরণ করতে চাইলে বাধা দেন বর্তমান সভাপতি মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
ওই সময় মোমিনুল হকের ছোটভাই গনিউল ইসলাম আহত হন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, গনিউলের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলায় আসামি করার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ঘটনা ঘটে গেছে। পরে আমি গিয়ে ইফতার করেছি। আমাকে কেন আসামি করল বুঝতে পারছি না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এটা করতে পারে।