
পাশবিক নির্যাতনের শিকার আছিয়ার মরদেহ দাফন করা হয়েছে দাদাবাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডি গ্রামে।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার পর শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আর রাত সাড়ে ৮টায় শ্রীপুরের সোনাইকুন্ডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় জানাযা শেষে আছিয়ার দাদাবাড়ি সোনাইকুন্ডি গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে শিশুটির মৃত্যুর খবর পেয়ে সারা জেলা থেকে মানুষ মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানের জানাযার নামাজে শরীক হয়। এ জানাজায় অংশ নিতে বিকাল সওয়া ৫টার দিকে র্যাবের একটি হেলিকপ্টারে চড়ে মাগুরায় আসেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা মামুনুল হক, জাতীয় নাগরিকি পার্টির সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম।
পরে সোয়া ৬টার দিকে শিশু আছিয়ার মরদেহের সঙ্গে হেলিকপ্টারযোগে মাগুরায় আসেন মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আকতার।
শহরের নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত জানাজার নামাজের আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে শিশুটির ধর্ষণে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। একই দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক।
জানাজার নামাজে মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এমবি বাকের সহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।