দর্শনায় এক মাসে ১৪ ককটেল বোমা উদ্ধার

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:০০ পিএম

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার শিল্পনগরী দর্শনায় আবারও ১টি শক্তিশালী ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। শুক্রবার সকালে দর্শনা মা ও শিশু হাসপাতালের পেছনে মাঠের ইটখোলা নামক স্থান থেকে স্থানীয়রা একটি বোমার সন্ধান পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে দর্শনা থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাটি উদ্ধার করে।
এর আগে এক মাসে মধ্যে দর্শনা কেরু চিনিকল এলাকাসহ পৌর এলাকায় ১৩টি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে সাধারণ মানুষ ওই এলাকায় একটি সাদা পলিথিনের ব্যাগের কাঠের গুঁড়ার উপর লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পায়। পরে তারা দর্শনা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সেনাবাহিনীর একটি দল বোমাটি উদ্ধার করে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদ তিতুমির বলেন, বৃহস্পতিবার দর্শনা কেরুর মাঠ থেকে একটি বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। পরে এটি উদ্ধার করে সংরক্ষিত আছে।
তিনি বলেন, এর আগে দর্শনা কেরু এলাকা থেকে ১টি ও ৫টি তাজা ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ঈশ্বরচন্দ্রপুর ও আকন্দবাড়িয়া গ্রাম থেকে ৭টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৯ বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। আগের ৪টি ও আজ উদ্ধার ১টি মোট ৫টি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হবে।
গত ১৩, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি দর্শনা কেরু চিনিকল এলাকা থেকে পৃথকভাবে ৬ টি বোমা উদ্ধার করা হয়। একদিনের ব্যবধানে দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে ৭টি বোমা উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়ে গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে যায়।
পরে রাজশাহী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের-৫ ইউনিট ও যশোর সেনানিবাসের ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের বোম ডিসপোজাল ইউনিট তা নিষ্ক্রিয় করেছিল।
এ ঘটনায় দর্শনা থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেছিল। দর্শনা শিল্প ও সীমান্ত শহর বর্তমান মানুষে মানুষের মধ্যে বোমাতাঙ্ক বিরাজ করছে।