
আত্মীয়ের লাশ দেখতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই লাশ হলেন যাত্রী ছানোয়ার হোসেন ও চালক আব্দুল জলিল। এর মধ্যে জলিল ঘটনাস্থলে এবং ছানোয়ার ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছেন।
একই ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই শিশু সন্তানসহ মা মীম চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ধনবাড়ী উপজেলার ভাইঘাট বাসস্ট্যান্ডে একটি কাভার্ডভ্যানের চাপায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ছানোয়ার (৩৫) মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের হাসিল গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে ও আব্দুল জলিল (৬০) একই গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুসের ছেলে। আহতরা হলেন- ছানোয়ারের স্ত্রী মীম (২৫), দুই শিশু সন্তান মিরাজ (৫) মহিন (৩)।
নিহতের স্বজন মামুন জানান, ছানোয়ার ধনবাড়ী উপজেলার নরিল্যা গ্রামের শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়ের লাশ দেখতে যাচ্ছিলেন। পরিবারের স্ত্রী সন্তানসহ এলাকার আব্দুল জলিলের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চেপে ভাইঘাট বাসস্ট্যান্ডে এসে পৌঁছলে অপরাপর দুই যাত্রী নেমে যান। সড়ক পার হতে গেলে জামালপুরগামী একটি কাভার্ডভ্যান অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। রিকশাচালক জলিল পড়ে গিয়ে কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মাথা বুক থেঁতলে মারা যান। ছিটকে পড়ে আহত হন ছানোয়ারের পরিবারের লোকজন।
স্থানীয়রা এদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ছানোয়ারের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ওই ঘটনার পরে গাছের গুঁড়ি ফেলে স্থানীয় লোকজন রাস্তা অবরোধ করেন। দুই ঘণ্টার অবরোধে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
ধনবাড়ী থানার ওসি এসএম শহীদুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে।