কবর থেকে জুলাই শহিদের মরদেহ না তুলেই ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট
মামলার বাদীকে চেনেন না স্বজনরা
যুগান্তর প্রতিবেদন, মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মুন্সীগঞ্জে পরিবারের আপত্তিতে জুলাই আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতা মো. মানিক চৌধুরী শাহরিকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করতে পারেননি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের রামগোপালপুর এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে হাজির হয় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় স্বজন ও এলাকাবাসী লাশ উত্তোলনে অসম্মতি জানান।
স্বজনরা জানান, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের দিন দুপুরে রাজধানী চানখারপুল এলাকায় আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিতে নিহত হন মিরকাদিম পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহরিক চৌধুরী মানিক। এ ঘটনায় একই বছরের অক্টোবরে আদালতে খালাতো ভাই পরিচয়ে মামলা দায়ের করেন রাজু নামে এক ব্যক্তি। মামলাটি পরবর্তীতে শাহাবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তবে মামলার বাদী মানিকের কেউ নন। ভুয়া খালাতো ভাই সেজে মামলা করা হয়েছে মর্মে আপত্তি জানান শাহরিকের বাবা।
নিহত শাহরিকের বাবা আনিছুর রহমান চৌধুরী জানান, আন্দোলনে রাজপথে হত্যার শিকার হয়েছে মানিক। এ ঘটনায় খালাতো ভাই পরিচয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন অচেনা একজন। রাজু নামের ওই বাদী সম্পর্কে আমাদের কেউ নয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আন্দোলনের শুরু থেকেই শাহরিককে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল মিরকাদিম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি সাবেক মেয়র শহীদুল ইসলাম ইসলাম শাহীন। হত্যাকাণ্ডের পর তার লোক দিয়েই মামলা করিয়ে বাঁচার জন্য শাহীনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মামলার বিষয়টি স্বজনরা কেউ জানে না। মামলাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনে ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুল ইসলাম জানান, শাহবাগ থানায় মামলায় মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ ছিল। তবে পরিবারের অসম্মতি জানানোর কারণে মরদেহ উত্তোলন করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় করণীয় অনুসরণ করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সময় বাদীকে ফোন দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে দেখিনি। তবে মামলার অগ্রগতি চলছে। মামলার বাদীকে নিয়ে পরিবারের আপত্তি থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে।
নিহত মানিক চৌধুরী শাহরিক মিরকাদিম পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ছিলেন। তিনি স্থানীয় রামগোপালপুর এলাকার আনিসুর রহমান চৌধুরীর ছেলে।
