Logo
Logo
×

সারাদেশ

মিরসরাইয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, যুবককে কুপিয়ে হত্যা

আহত ১৩

Icon

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম

মিরসরাইয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা ও দুই পৌরসভা বিএনপির কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মো. জাবেদ (৪৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বুধবার বারইয়ারহাট পৌর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন দুপক্ষের অন্তত ৩০ জন।

নিহত জাবেদ চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার বাংলাবাজারের নীলগিরি আবাসিক এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে। তিনি একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি বলে জানা গেছে।

আহতদের মধ্যে মনজুরুল হক সুমন, গোলাম মোর্শেদ, ইলিয়াস হোসেন, বাবুল ও রাশেদ নামের চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের সবাই ধারালো ছুরি ধারা জখমপ্রাপ্ত বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে মনজু ও সুমনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন লিটনের বাড়ির সামনে আমাদের নেতাকর্মীদের পথ অবরুদ্ধ করে হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। দুপুর ১২টায় আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল সহকারে বারইয়ারহাট পৌর বাজারে প্রবেশ করলে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন অস্ত্রসহ হামলা চালান। হামলায় জাবেদ নামের একজন পথচারী নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।

তবে পাল্টা অভিযোগ করে বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী বলেন, বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হোসেনসহ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী ও মাঈন উদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। পরে শান্তিরহাট রোডের মুখে তাদের সঙ্গে আমাদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় জাবেদ নামের একজন পথচারী নিহত হন। সংঘর্ষে যুবদল ও ছাত্রদলের সুমন, বাবুল, মিজান, নুর উদ্দিন, আরিফসহ ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।

বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন লিটন বলেন, সকালে দিদারুল আলম মিয়াজীর নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় ১০-১৫ জন আহত হন। হামলার পর দুপুরে তারা আমাদের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালায়।

মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাজিয়া আফরিন বলেন, জাবেদ নামের একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার পেটে ছুরির আঘাত রয়েছে। আহত আরও ১০-১২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গত দুদিন ধরে উত্তেজনা চলে আসছে। বুধবার সকালে দলটির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চত্বর ও তার আশপাশের ৫০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বিএনপির একটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করেন। মিছিলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম বিএনপি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম