Logo
Logo
×

সারাদেশ

নোয়খালীর সেই দুর্ধর্ষ প্রতারক মিনহাজ গ্রেফতার

Icon

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম

নোয়খালীর সেই দুর্ধর্ষ প্রতারক মিনহাজ গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রদ্রোহ ও সন্ত্রাসী মামলায় সেই প্রতারক আশরাফুজ্জামান মিনহাজ ওরফে মিনহাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে শরীয়তপুর কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি নোয়খালী জেলায়।

বুধবার (২৬ মার্চ) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পন্ডিসার এলাকার মাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনীর একটি দল। 

নড়িয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, নতুন নতুন কায়দায় প্রতারণা করে অর্থ কামান তিনি। সুবিধা অনুযায়ী, কখনো নিজেকে পরিচয় দেন কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক। আবার কোথাও বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। বর্তমানে নিজেকে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর দাবি করেন। নিজেকে বিত্তবান পরিচয় দিয়ে সুইস ব্যাংকে ৫৫ মিলিয়ন ডলার গচ্ছিত আছে বলেও দাবি করেন তিনি। 

বিসিএস ক্যাডার ‘কথিত’ স্ত্রীর প্রভাব দেখিয়ে ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলার আসামি করে আবার ভুক্তভোগীদের সহযোগিতার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার মূল পেশা। 

প্রতারক মিনহাজ ও তার স্ত্রীর এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দিয়েছেন একজন ভুক্তভোগী। নড়িয়া থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দিন মোল্ল্যা বিষয়টি জানান।

জানা গেছে, আশরাফুজ্জামান নামের এই প্রতারকের উত্থান ২০০৮ সালে। ২০০৯ সালে সাহারা খাতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার আগেই তার পরিবারের এক সদস্যকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন মিনহাজ। 

এরপর ২০০৯ সালে সাহারা খাতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর তার পরিবারের জামাই পরিচয় দিয়ে সচিব, পুলিশ, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেন তিনি। 

নিজে পুলিশ, আমলা ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে মামলায় ফেলে আবার মামলা থেকে বাঁচানোর নামে ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে টাকা আদায় তার প্রধান পেশা হয়ে ওঠে। এছাড়া কর্মকর্তাদের বিপদে ফেলেও টাকা নেন তিনি। অপরাধ করতে যখন যাকে প্রয়োজন তাকে ব্যবহার করেন। 

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের পরিবারের জামাই পরিচয় ব্যবহার করার ঘটনা জানতে পেরে তাকে তখন গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

সম্প্রতি নতুন পন্থা অবলম্বন করে অর্থ কামানোর ধান্ধায় নেমেছেন তিনি। পতিত স্বৈরাচারের ১৬ বছরে বিএনপি-জামায়াতপন্থি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও ভালো পদায়ন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে বলে ওসি মো. আসলাম উদ্দিন মোল্ল্যা জানান।

পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমনকি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার সখ্য আছে- এমন দাবি করে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন মিনহাজ। এই প্রতারকের বিষয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন থানায়। 

নোয়খালী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম