হবিগঞ্জের বাহুবলে ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কে গাছ ফেলে আবারও ডাকতি হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা দুটি প্রাইভেটকার আটক করে ডাকাতি করে। ডাকাতরা যাত্রীদের মারধর করে সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোনসহ টাকা-পয়সা নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে দুশ গজ অদূরে টার্নিং পয়েন্টে এ ডাকাতি সংঘটিত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।

কামাইছড়া এলাকার বাসিন্দা মাসুক মিয়া বলেন, কামাইছড়া থেকে মুছাই পর্যন্ত পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় ডাকাত দলের সেফ জোন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে তিনবার এই সড়কে ডাকাতি হয়েছে। ২০-২২ জনের ডাকাত দল রাতের যে কোনো সময় ওই এলাকায় পৌঁছে পাহাড়ের গাছ কেটে সড়কে ফেলে ডাকাতি করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। তিনি সড়কে পুলিশের টহল আরও বাড়ানোর দাবিও করেন।

বড়গাঁও গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতরা বেশিরভাগই গাছ চোর, তাদের বাড়ি রানীগাঁও গ্রামে। বাহুবল ও চুনারুঘাট থানার পুলিশ মিলে ওই গ্রামে অভিযান দিলে অনেক ডাকাতকে আটক করা সম্ভব হতো। তারা এলাকার চিহ্নিত চোরডাকাত।

সাতগাঁও হাইওয়ে থানার ওসি সাইফুর রহমান বলেন, মাত্র তিন মিনিটের ডাকাতি হয়েছে, আমাদের টিম ছিল রশিদপুর, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যায়। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ২০-২২ জনের ডাকাত দল চুনারুঘাটের রানীগাঁও থেকে তারা এখানে এসে ডাকাতিতে লিপ্ত হয়।