Logo
Logo
×

সারাদেশ

বেয়াইয়ের বিরুদ্ধে বেয়াই-বেইয়ানকে মারধরের অভিযোগ

Icon

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২০ পিএম

বেয়াইয়ের বিরুদ্ধে বেয়াই-বেইয়ানকে মারধরের অভিযোগ

যশোরের মনিরামপুরে এক বেয়াইয়ের (ছেলের বাবা) বিরুদ্ধে আরেক বেয়াই, বেয়াইনকে (মেয়েপক্ষ) মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, জামাইকে দেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় এ হামলা করা হয়েছে। এ সময় মেয়ের বাবার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার মাসনা গ্রামের নতুন বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার মেয়ের বাবা হাদিউজ্জামান ওই গ্রামের ইব্রাহিম মোড়লের ছেলে। তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর তিনেক আগে মাসনা গ্রামের হাদিউজ্জামানের মেয়ে সানজিদা নাহার হাসি পরিবারের অমতে একই গ্রামের জামশেদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনকে বিয়ে করেন। বছর দেড়েক আগে শ্বশুর হাদিউজ্জামানের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়ে দুবাই পাড়ি জমান আলমগীর। ছেলে দুবাই যাওয়ার পর থেকে হাসির ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে আলমগীরের পরিবার। এর জেরে তিন মাস আগে হাসি নিজের বাবার বাড়ি চলে আসেন। এরপর আলমগীর হোসেনকে দেওয়া টাকা ফেরত চান হাদিউজ্জামান। এ টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের মধ্য বিরোধের সূত্রপাত ঘটে।

মরধরের শিকার হাদিউজ্জামান বলেন, আমার মেয়ে স্বামীকে ডির্ভোস দিয়ে বাড়িতে চলে আসে। এরপর টাকা ফেরত চাইলে আলমগীরের পরিবারের লোকজন আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। শুক্রবার জমি কেনার জন্য টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে আলমগীরের বাবা জমশেদ আলী, ভাই তাজুল ইসলাম তাজু, সিদ্দিকুর রহমান, সাজু হোসেন, ওয়াসেকসহ আট থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী আমার গতিরোধ করে। দড়ি দিয়ে বেঁধে বাগানের দিকে নিয়ে যায়। তারা আমাকে মেরে পাঁচ লাখ ৫২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে আমার স্ত্রী মাছুমা খাতুন, মেয়ে সানজিদা নাহার বিথি ও ছেলে সোহান হাসান জিম গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।

হাদিউজ্জামানের স্ত্রী মাছুমা খাতুন বলেন, ‘আমাদেরকে মারধরের পর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।’

মনিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম