রংপুরের পীরগাছায় ৯ বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি মাহবুবার রহমানকে (৫০) আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা। সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মণীকুণ্ডা বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা।

পুলিশ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পীরগাছা থানার ওসি নূরে আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৬ মার্চ বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নে এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পীরগাছা থানায় ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে মামলা করা হয়। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন। মাঝে-মধ্যে এলাকায় গোপনে এসে ঘুরে যেতেন। একই গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে গ্রেফতারকৃত আসামি মাহবুবার রহমান। তিনি এক সময় বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তার বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী শিশুটির মা জানান, তার মেয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে না। সে মানসিক প্রতিবন্ধী। প্রতিবেশীর সুবাদে প্রতিনিয়ত শিশুটির বাড়ির পাশে আসা-যাওয়া করেন আসামি মাহবুবার রহমান। গত ২৬ মার্চ সকালে তিনি তার মেয়েকে বাসায় রেখে কাপড় ধুতে পার্শ্ববর্তী পুকুরে যান। হঠাৎ মেয়ের চিৎকারে বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখেন তার মেয়েকে মাহবুবার রহমান ধর্ষণের চেষ্টা করছেন। ঘটনা দেখে তিনি চিৎকার দিয়ে মানুষজন ডাকলে মাহবুবার ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

শিশুটির পারিবারিক সূত্রে আরও জানা গেছে, এর আগেও তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন মাহবুবার। সেই সময় মান-সম্মানের ভয়ে ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আপস-মীমাংসা করে দেওয়ায় তারা আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তবে এবার পরিবারের পক্ষে আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

পীরগাছা থানার ওসি জানান, আসামি মাহবুবার রহমানকে তারা গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়েছেন। এরই মধ্যে সোমবার রাতে স্থানীয়রা তাকে আটক করে খবর দিলে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় আনে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।