ধর্ষণ মামলা করায় দাদি-বোনের সামনেই ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বরগুনায় তিন বছর আগে ধর্ষণ মামলা করায় প্রতিশোধ নিতে ফের দাদি ও বোনের সামনে থেকে কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আটজনকে আসামি করে মামলা করেন কলেজছাত্রীর বাবা।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার হলদিয়া গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মো. মোরশেদ জয় (২০) ও সহযোগী মো. নাহিদ মোল্লা, মো. এনায়েত হাওলাদার, মো. জসিম, মো. ইমরান গাজী, শিরিনা আক্তার রুবি, লিপি বেগম ও নাহার বেগম।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।
জানা যায়, কলেজছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, তার নাবালিকা মেয়ে এইচএসসি পাশ করেছে। আসামি মোরশেদ জয়, মো. নাহিদ মোল্লা ও মো. এনায়েত ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তার মেয়েকে অপহরণের পর জয় ধর্ষণ করে। বাদীর বাবা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিরা দীর্ঘদিন জেলহাজতে ছিল। সেই মামলা পটুয়াখালী আদালতে চলমান।
বাদী মামলা করে আসামিদের জেল খাটিয়েছে- এমন আক্রোশে ফের কলেজছাত্রীকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। ৮ মার্চ সকাল ১০টার দিকে সব আসামি একজোট হয়ে রামদা ছেনা নিয়ে বাদীর ঘরে ঢুকে কলেজছাত্রীর আপন ছোট বোন ও দাদির সামনে থেকে ছাত্রীর ওড়না দিয়ে মুখ বাঁধে মো. মোরশেদ জয় ও নাহিদ মোল্লা জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অন্যান্য আসামিরা বাদীর ঘরে ঢুকে মালামাল লুট করে নেয়। এ সময় ছাত্রীর বোন ও দাদি বাধা দিলেও ছাত্রীকে আটকাতে পারেনি।
বাদী বলেন, আমি ব্যবসায়িক কাজে বাইরে ছিলাম। আমার স্ত্রী শিক্ষিকা। তিনি স্কুলে ছিলেন। সিনেমা স্টাইলে জয় ও তার সহযোগীরা দিনের বেলা আমার ঘরে ঢুকে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমি আগে কেন মামলা করে তাদের জেল খাটিয়েছি- সেই আক্রোশে আমার মেয়েকে আবার অপহরণ করে। আমার ধারণা জয় আবার আমার মেয়েকে কোথাও আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। দুই দিন খোঁজ করে মেয়েকে কোথাও না পেয়ে মামলা করেছি। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না। তবে আসামিদের দখলে আছে।
আসামি জয়ের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
