পরীক্ষার আসন ছেড়ে প্রেমিকের বাড়িতে পরীক্ষার্থী
যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দাখিল পরীক্ষার আসনে না বসে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছে এক পরীক্ষার্থী। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে ওই পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার মহিষকাটা এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী পার্শ্ববর্তী চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের হেলাল মৃধার ছেলে আরিফ মৃধার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। গত তিন বছর ধরে তারা চুটিয়ে প্রেম করেছেন এমন দাবি ওই পরীক্ষার্থীর; কিন্তু প্রেমিক বরিশাল বিএম কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া ছাত্র আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রেমিক আরিফের বাড়িতে আসেন প্রেমিকা। প্রেমিক আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়। পুলিশ ওই পরীক্ষার্থীকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন; কিন্তু প্রেমিক আরিফ তাকে বিয়ে করেননি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ছিল ওই প্রেমিকার দাখিল পরীক্ষা। তিনি পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে প্রেমিক আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছেন। পরে ঘোষণা দেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আরিফ বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
প্রেমিক আরিফ মৃধার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশনে বসার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন। এ ঘটনার পরপরই আরিফ মৃধা ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলেন, আরিফ মৃধা আমার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এখন তার পরিবারের কথামতো আমাকে বিয়ে করতে রাজি না। তাই আমি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অনশনে বসেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমি তো আমার সবই হারিয়েছি। এখন আর আমার কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমি এ বাড়িতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তার ছেলের সঙ্গে রাতে থাকতে দিয়েছেন। এখন তারা পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, দুই পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি। সমাধান হয়েছে কিনা আমি জানি না।
এ বিষয়ে জানতে প্রেমিক আরিফ মৃধা ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, বিষয়টি আমি জানি। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, মেয়ের পরিবারকে জানানো হয়েছে; কিন্তু তারা মেয়েকে নিতে রাজি না।
