Logo
Logo
×

সারাদেশ

সুদের টাকা সংগ্রহে রিকশাচালক বাবরকে হত্যা করা হয়

Icon

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

সুদের টাকা সংগ্রহে রিকশাচালক বাবরকে হত্যা করা হয়

নোয়াখালীর সদর উপজেলার চর উরিয়া এলাকায় অটোরিকশাচালক বাবরের খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকারী মনিরুল ইসলাম মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ সময় তার কাছ থেকে বাবরের ব্যবহৃত মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিহত বাবরের ব্যবহৃত অটোরিকশাটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

সোমবার দিবাগত রাতে মাইজদী পেট্রল পাম্প এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মনিরুল ইসলাম মামুন নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় অটোরিকশাচালক বাবরের। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে চর উরিয়া এলাকার একটি সবজি খেতে বাবরের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ বাবরের মৃতদেহ উদ্ধার করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ও অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে মাইজদী পেট্রল পাম্প এলাকা থেকে আসামি মনিরুল ইসলাম মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবরকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে মামুন। 

ওসি আরও জানান, এক ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নেওয়া ৪৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৯০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হওয়ায় অতিরিক্ত টাকা সংগ্রহে তার পরিচিত বাবরের অটোরিকশাটি বিক্রি করে টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বাবরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক বাবরকে নিয়ে দত্তেরহাট এসে জুসের সঙ্গে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ায়। বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামের নির্জন বাগানে অটোরিকশাটি রেখে বাবরকে নিয়ে প্রথমে সোনাপুর যায়। তারপর সিএনজিতে পূর্ব চর উরিয়ার স্লুইস গেটসংলগ্ন কৃষি অফিসের সামনে সবজি বাগানে নিয়ে জুস খাওয়ানোর পর বাবরকে তার গায়ের গেঞ্জি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ভিকটিমের স্যান্ডেল বাঁশঝাড়ের পাশে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লিলেন গেঞ্জিটি তার পাশে কলাবাগানে রেখে পালিয়ে যায়।

নিহতের ব্যবহৃত অটোরিকশা ও এই ঘটনায় জড়িত অন্য কেউ থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান ওসি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম