এসএসসি পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করায় কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি

সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ পিএম

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ভোকেশনাল পরীক্ষায় ‘ভুল প্রশ্নপত্র’ বিতরণ করায় পাবনার সুজানগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব দিলীপ কুমার বিশ্বাস, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পজীপ) সেলিম রেজা, কক্ষ পরিদর্শক চিনাখড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক স্বপ্না রানী শীল, কাশিনাথপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মোছা. লিপি খাতুন ও শহিদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মমিনুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পজীপ) সেলিম রেজার পরিবর্তে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামকে এবং ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও সুজানগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) দিলীপ কুমার বিশ্বাসের পরিবর্তে কেন্দ্র সচিব হিসেবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সোলায়মান হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ। এর আগে ভুল প্রশ্ন বিতরণের জন্য দায়ী ব্যক্তি/কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কারণ দর্শানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ওআইসিটি) পাবনা উম্মে তাবাসসুম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এসএসসি দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় বাংলা-২(১৭২১) বিষয়ের পরীক্ষায় সুজানগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত সুজানগর নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ৪ (চার) জন পরীক্ষার্থীকে ভুলক্রমে দাখিল ভোকেশনাল বাংলা-২(১৭২১) এর পরিবর্তে এসএসসি (ভোকেশনাল) বাংলা-২(১৯২১) বিষয়ের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর পরীক্ষার্থীদের খাতায় স্বাক্ষর করতে গিয়ে বিষয়টি কক্ষ পরিদর্শকের নজরে আসলে পরীক্ষার্থীদের সঠিক প্রশ্ন সরবরাহ করে উত্তরপত্রের পরবর্তী অংশে উত্তর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় । এদিকে এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত অভিযুক্ত কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও প্রত্যবেক্ষক/কক্ষ পরিদর্শকে কারণ দর্শানের নোটিশ প্রদান হয়।
এতে জানানো হয়, পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র যথাযথভাবে ও যথাসময়ে বিতরণ করা অত্যন্ত জরুরি ও আব্যশিক কাজ। উক্ত ঘটনাটি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রণীত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং পাবলিক পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন বিতরণের বিষয়টি সরকারি দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা প্রদর্শন এর সমতুল্য যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী (কর্তব্যে অবহেলা) অসদাচরণের শামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এহেন কার্যকলাপের দায় প্রাথমিকভাবে দায়িক্তপ্রাপ্ত সংশিষ্ট কেন্দ্র সচিব, কক্ষ পরিদর্শক ও ট্যাগ অফিসারের ওপর বর্তায়। এমতাবস্থায় ভুল প্রশ্ন বিতরণের কারণ ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক পত্র প্রাপ্তির ২ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হলে তারা জানান ইতোমধ্যে কারণ দর্শানোর লিখিত জবাব তারা প্রদান করেছেন।