আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১১ আসামিকে আরও ১ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫২ পিএম

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক আইনের আরেকটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- প্রেমনন্দন দাশ বুজা (১৯), রনব দাশ (২৪), বিধান দাশ (২৯), বিকাশ দাশ (২৪), রুমিত দাশ (৩০), রাজ কাপুর (৫৫), সামির দাশ (২৫), শিব কুমার দাশ (২৩), ওম দাশ (২৬), অজয় দাশ (৩০) ও দেবী চরণ (৩৬)।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার গ্রেফতার ১১ আসামিকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। এদিন সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরের পর তার অনুসারীদের সঙ্গে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সহিংসতার ঘটনায় আইনজীবী আলিফের ভাইয়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আসামিদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা যায়, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের মামলায় গত ২৬ জানুয়ারি নগরীর কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোডের সেবক কলোনি থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পরদিন তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে ত্রাস সৃষ্টি করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা তাকে বহনকারী প্রিজনভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা।
একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীরপাড় থেকে কোতোয়ালি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়।
আইনজীবী সমিতি এ হামলার জন্য ইসকন সদস্য ও সমর্থকদের দায়ী করে। ওই ঘটনার চার দিন পর নিহত আলিফের ভাই খানে আলম নগরীর কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন। ভাঙচুর, বিস্ফোরণ ও জনসাধারণের ওপর হামলার অভিযোগে করা ওই মামলায় ১১৬ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া আলিফ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।