বাগমারায় বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম

পবিত্র হজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগমারায় আল-বায়া সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আককাছ আলী শেখ ও সম্পাদক রায়হান আলী শেখের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজশাহীর আমলী আদালতে পৃথকভাবে মামলা দুটি করা হয়।
আককাছ আলী ও রায়হান সম্পর্কে বাবা-ছেলে। তাদের বাড়ি গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের
তেলিপুকুর গ্রামে। মামলার বাদীর হলেন, যুগান্তরের বাগমারা প্রতিনিধি সাংবাদিক আবু বাককার
সুজন ও তার ছোট ভাই আফজাল হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক আবু বাককার সুজন ও তার স্ত্রীকে ভালো
এজেন্সির মাধ্যমে হজে পালনের কথা বলে অভিযুক্ত বাবা-ছেলে। প্রলোভনে পড়ে বাবা-ছেলেকে
১২ লাখ টাকা দেন এ সাংবাদিক। পাশাপাশি সাংবাদিকের ছোট ভাই বাবাকে হজে পাঠানোর জন্য
তাদের পাঁচ লাখ টাকা দেন। হজে না পাঠিয়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে অভিযুক্তরা।
বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ ইউএনও এবং বাগমারা থানার ওসিকে জানান
সাংবাদিক সুজন। পরে এ নিয়ে সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারির
তারিখের কথা বলে বাবা-ছেলে। দেয় চেকও। কিন্তু ১৮ ফেব্রুয়ারি টাকা তুলতে গিয়ে সুজন ও
আফজাল চেক দুটি ডিজঅনার হয়। এর জেরে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে ১৮৮১ সালের নেগোসিয়েবল
ইন্সট্রমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা করেন সুজন ও আফজাল।
অভিযোগ রয়েছে, আল-বায়া সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের
সমিতি দিয়ে তিন উপজেলার প্রায় শতাধিক লোকজনের কাছে থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা আমানত
সংগ্রহ করে তা আত্নসাৎ করেছেন এ বাবা ও ছেলে। আত্নসাতের পন্থা অবলম্বর করে অল্প দিনের
মধ্যে তারা অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন তারা। কিনেছেন পাঁচটি ট্রাক। তেলিপুকুর বাজারে
নির্মাণ করেছেন বিলাসবহুল বাড়ি।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতারক ওই বাবা-ছেলের
বিরুদ্ধে প্রতিদিনই বিভিন্ন লোকজন অভিযোগ নিয়ে থানায় আসছে। কিন্তু তাদের কাছে ওই সমিতির
পাশ বই ছাড়া আর অন্য কোনো ডকুমেন্ট না থাকায় তারা মামলা করতে পারছে না।’
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বিচারক মামলা
দুটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।’