Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

Icon

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সদ্য বিদায়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোছা. রেহেনার খাতুনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, গ্যারেজের সেড নির্মাণ কাজে দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। অডিট অফিসারদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপাও দিয়েছেন।

বর্তমানে জেলার ধনুট উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন রেহেনা খাতুন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে গ্যারেজ নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এ বরাদ্দ আসার আগেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান ব্যক্তি উদ্যোগে গ্যারেজটি নির্মাণ করেন। তিনি বদলি হওয়ার রেহেনা খাতুন ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। পরে তিনি নিয়মিত হন। বরাদ্দের সেই টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন তিনি। এমনকি নির্মাণকৃত গ্যারেজ দেখিয়ে অডিট অফিসারদের বোকা বানিয়েছেন রেহেনা খাতুন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অফিস সহকারী মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘কর্মকর্তারা তো আমাকে চেকই দেয়। কোনটা কিসের চেক সেটা আমি বলতে পারবো না। আপনার যা জানার রেহেনা ম্যাডামের কাছ থেকে জেনে নিন। তাছাড়া কয়েকমাস আগের কথা আমার ভাল করে মনেও নেই।’

শেরপুর উপজেলার সাবেক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান বলেন, ‘আমি শেরপুরে থাকা অবস্থায় মানুষের সহযোগিতায় একটি গ্যারেজ ও মুক্তমঞ্চ নির্মাণ করি। সুপ্রশস্থ রাস্তা, সেবাগ্রহীতার বসার জায়গা ও সৌন্দর্যপূর্ণ কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম। আমি শেরপুর থেকে বদলি হওয়ার পর গ্যারেজ নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। সেই টাকা কে তুলেছে, কীভাবে খরচ করেছে তা আমি জানি না।’

অভিযোগের বিষয়ে রেহেনা খাতুন বলেন, ‘গ্যারেজের জন্য বরাদ্দকৃত দুই লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।’ টাকাগুলো কি কাজে খরচ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান বলেন, ‘আমার কোনো অন্যায় থাকলে অডিটে ধর পরতো।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম