Logo
Logo
×

সারাদেশ

দোকানে নিয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ

Icon

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম

দোকানে নিয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ

নড়াইলের লোহাগড়ায় কেনাকাটা করতে গেলে দোকানে ঢুকিয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মাতবররা সালিশ বৈঠক করে দুই লাখ টাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার বিকালে ব্রাহ্মণডাঙ্গা বাজারে উলফাত স্টোরের ভেতরে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ধর্ষক উলফাতকে আটক করে ৫৪ ধারায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

উলফাত মোল্লা চর ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের শামসু মোল্যার ছেলে।

জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়ার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের হান্দলা গ্রামের শ্রবণপ্রতিবন্ধী মেয়ে রোববার বিকালে ব্রাহ্মণডাঙ্গা বাজারে উলফাতের দোকানে কেনাকাটা করতে যায়। দোকানদার উলফাত (৪৫) তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকানের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগী মেয়েটি প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ করতে না পারলেও স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টা জানাজানি হয়। পরে মেয়ের মাকে খবর দিলে তিনি এসে মেয়েকে চেকআপ করে ঘটনার সত্যতা পান। তখন বাজারের লোকজন মেয়ের মাকে উপযুক্ত বিচার দেবেন বলে আশ্বাস দেন।

অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী একটি মহল ওই পরিবারটিকে আইনগত পদক্ষেপ না নিতে চাপ দেয়। এমনকি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। রাতেই বাজারের মধ্যে সালিশ বৈঠকে বসেন মাতবররা। সবার সম্মতিক্রমে ধর্ষক উলফাত মোল্লাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ধর্ষিতার চাচা বলেন, ওই সালিশ বৈঠকে তাদের ডাকা হয়নি। ইজ্জত তো চলেই গেছে, টাকা দিয়ে কী হবে? লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না।

উলফাত মোল্লার ভাতিজি বলেন, তার চাচা নির্দোষ। তাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন মাতবররা। যেখানে ২ লাখ টাকা দিয়ে সমাধান করা হলো সেখানে তাদের বাড়িতে পুলিশ ও সাংবাদিকরা কেন এলো?

এ ব্যাপারে মাতবর নাজিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি ধর্ষণ ও সালিশের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান, ধর্ষক উলফাতকে সোমবার সন্ধ্যায় আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার কোনো লিখিত অভিযোগ না করায় তাকে ৫৪ ধারায় মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম