সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ সৌদি প্রবাসীর
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তালাকের পর থেকে সাবেক স্ত্রী ‘অপপ্রচার’ ও ‘ষড়যন্ত্র’ চালানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সৌদি প্রবাসী সাহাবুদ্দিন ফকির। বুধবার দুপুরে ভাঙ্গা তুজারপুর ইউনিয়নের কাফেরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সাহাবুদ্দিন ফকিরের অভিযোগ, ২০০৪ সালে সদরপুর উপজেলার ঢেউখালি গ্রামের
সালাম সরদারের মেয়ে সালমা বেগমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। এ ঘরে আমার তিন মেয়ে রয়েছে।
২০০৮ সালে আমি ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সৌদি আরবে পাড়ি জমাই। প্রবাসে থাকা
অবস্থায় জানতে পারি আমার স্ত্রী বিভিন্ন লোকের সঙ্গে পরকীয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১৯ সালে শ্বশুর বাড়ির ও আমার পরিবারের লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে একটি
সালিশ হয়। সালিশের পর তিন মেয়েসহ আমার স্ত্রী সালমা আক্তারকে তার বাবা-মা বাড়ি নিয়ে
গিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেয়। এ ঘটনায় আমি ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে সালমাকে তালাক দিয়ে পরের বছর আমি ফরিদপুর সদর এলাকায়
একটি মেয়েকে বিয়ে করি। এই ঘরে আমার একটি ছেলে রয়েছে।
সাহাবুদ্দিন বলেন, চলতি বছর ১২ এপ্রিল আমার সাবেক স্ত্রী সালমা আক্তার
৩ মেয়েকে নিয়ে আমার বাড়ি কাফেরপুরে হাজির হয়। এর দুদিন পর ১৪ এপ্রিল ছালমা ঘরের দরজা
বন্ধ করে বড় মেয়েকে সাবানের গুড়া খাওয়ায়। এভাবে মেয়েকে হত্যা চেষ্টা চালিয়ে আমাকে ও
পরিবারকে ফাঁসাতে চেষ্টা করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। অসুস্থ মেয়েকে প্রথমে
ভাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি
করেছি।
তিনি বলেন, এখন আমার সাবেক স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এসব অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন সৌদিতে থাকা অবস্থায় কষ্টে অর্জিত লাখ লাখ টাকা,
স্বর্ণালংকার সব নিয়ে গেছে সাবেক স্ত্রী সালমা। আমাকে নিঃস্ব করে সে ক্ষ্যান্ত হয়নি।
এখন সে আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করছে। তাই আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে সাংবাদিক
ভাইদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, এ বিষয়ে আপনারা সঠিক তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ
করবেন। যাতে আমি এসব মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে পারি।
