যশোরে আফিল লেয়ার ফার্মে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার রামনগর ঘোড়াছাড়ায় অবস্থিত ফার্মটির একটি শেডে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। বিকাল ৪টার পর যশোর ও মনিরামপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

আগুনে শেডে থাকা প্রায় ৫০ হাজার মুরগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ হয়নি বলে জানিয়েছেন যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ।

আফিল মুরগি ফার্মের ব্যবস্থাপক মফিজ উদ্দিন জানান, দুপুর ২টার দিকে আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে  দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এর মধ্যে  অগ্নিকাণ্ডে ফার্মটির একটি শেড সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৫০ হাজার মুরগি ছিল। সব মুরগি আগুনে পুড়ে মারা গেছে। এ ছাড়া শেডের ভেতরে থাকা সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং মুরগি প্রসেসিং-এর স্বয়ংক্রিয় মেশিনও সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে।

যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ জানান, ‘খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। যশোর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এবং মনিরামপুর থেকে আরও দুটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ফার্মটির কর্মচারীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। আমরা অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটাও খুঁজছি। ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আফিল গ্রুপের পরিচালক মাহবুব আলম লাভলু বলেন, আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। ফার্মের অত্যাধুনিক মেশিনসহ ৫০ হাজার মুরগি পুড়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, মুরগি ও মেশিনারিজ সরঞ্জামে প্রায় ১২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ফার্ম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন।