এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে সচিবকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরীক্ষার কেন্দ্রের সচিবকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন কেন্দ্র সচিবের ছেলে আব্দুল ওয়ারেছ।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ এপ্রিল ভূঞাপুর ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এসএসসি
(দাখিলের) গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন প্রশ্নপত্র কম থাকার অভিযোগে এনে এসিল্যান্ড
কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ আব্দুস ছোবহানকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পাশাপাশি অকথ্য ভাষায়
গালাগাল করে।
এতে আরও বলা হয়, জামিয়াতুল মোদারেছিনের উপজেলা শাখার সভাপতি আফছার উদ্দিন
ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা একটি পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনা সংস্থার
কাছ থেকে অর্থ নেন। অধ্যক্ষ ছোবহান এর প্রতিবাদ করেন। এর জেরে গত ১৬ মার্চ জামিয়াতুল
মোদারেছিন থেকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়। ওই সময় তারা আফছার উদ্দিনকে
কেন্দ্র সচিব হিসেবে মনোনয়নের জন্য মাদরাসা বোর্ডে সুপারিশ করে। তবে ২৪ মার্চ অধ্যক্ষ
আব্দুস ছোবহান এ মনোনয়নের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন এবং ৮ এপ্রিল পুনরায় কেন্দ্র
সচিবের দায়িত্বে বহাল হন।
গত ৯ এপ্রিল হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দেন ওই অধ্যক্ষ। পরে এসিল্যান্ড তারিকুল
ইসলামকে আব্দুস ছোবহানকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেদিন
রাতেই এসিল্যান্ড মাদরাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ ছোবহানকে জানান, আফছার উদ্দিনই দায়িত্ব পালন
করবেন। পাশাপাশি অধ্যক্ষ ছোবহানকে হুমকি দেন তিনি।
গত ১৭ এপ্রিল পরীক্ষা চলাকালীন সময় প্রশ্নপত্র কম থাকা ও দায়িত্ব অবহেলার
অভিযোগে অধ্যক্ষসহ মোট ছয়জনকে আটক করেন ইউএনও মোছা. পপি খাতুন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা
দায়েরও করা হয়।
অভিযোগকারী আব্দুল ওয়ারেছ বলেন, ‘বাবার সঙ্গে কথা বলতেই তিনি কেঁদে ফেলেন।
এসিল্যান্ড শুধু শারীরিকভাবে নির্যাতনই করেননি, তাকে চরমভাবে অপমানও করেছেন। অথচ প্রশ্নপত্র
বিতরণকারী নূরুল হুদার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
অভিযোগের বিষয়ে তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে
অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তদন্তেই এর সত্যতা প্রমাণ হবে।’
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্চয় কুমার মহন্ত
বলেন, ‘এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
