মাদ্রাসা শিক্ষকদের পিটুনিতে পালাল তিন ছাত্র
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসা শিক্ষকদের নির্মম পিটুনিতে মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছে তিন ছাত্র। কক্সবাজার থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই তিন ছাত্রকে অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কারণে-অকারণে ছাত্রদের ওপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন।
এ ঘটনার পর ওই ছাত্রদের অভিভাবকরা রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অসহায় তিন মাদ্রাসাছাত্র হলো- আবদুর রহমান (১১), মুজাহিদুল ইসলাম আয়মান (১০) ও রেজওয়ান ইবনে আলম (১১)। ওদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাদ্রাসার হুজুরদের ক্রমাগত বেত্রাঘাত, কুরআন শরীফের রেহাল দিয়ে মারধর থেকে মুক্তি খুঁজতেই পালিয়ে গিয়েছিল তারা তিনজন। তাদের চোখে-মুখে ভয় আর আতঙ্ক।
এর আগে শুক্রবার বসুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দারুল ইহসান তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা থেকে তারা পালিয়ে যায়।
ছাত্র আবদুর রহমান জানায়, আমাদের বেত, লাঠি ও কুরআন শরিফের কাঠের রেহাল দিয়ে মারধর করতেন শিক্ষকরা। তাই আমরা পালিয়েছি।
অভিভাবক শারমিন আক্তার জানান, শিক্ষকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তারা দুপুরে পালিয়ে যায়। পরে ৩টার দিকে এক শিক্ষক ফোনে আমাদের জানান। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতার ঘাটতি ও নিরাপত্তাক্ষীর অনুপস্থিতির কথা জিজ্ঞেস করতেই অধ্যক্ষ আমাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। পরে পুলিশের সহায়তায় কক্সবাজার থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মুজাম্মেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের মাদ্রাসায় কাঠের রেহাল ব্যবহার হয় না। আর ঘটনার সময় আমি তিন দিনের ছুটিতে ছিলাম।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, এ ঘটনায় অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
