সাড়ে ৬ হাজার মণ ধান লুটের অভিযোগ মিঠামইন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১৩ কৃষকের জমির সাড়ে ৬ হাজার মণ পাকা বোরো ধানের জমি কেটে লুট এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের রথখলা এলাকার একটি ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কৃষক মাসুদ মিয়া (৪০), জমির হোসেন (৪৩), কাসুম আলী (৫৫) ও নায়েব আলী (৫০) প্রমুখ।
এ সংবাদ সম্মেলন থেকে কৃষকরা বলেন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হাওড়ের এসব জমির মালিক সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভাই আব্দুল হক নুরু। তার কাছ থেকে তারা ১৩ জন কৃষক ৬৬ একর জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছিলেন। জমির ধান পেকে ওঠায় কৃষকরা ধান কাটতে জমিতে গেলে মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর তাদের বাধা দেন। পরে তার নেতৃত্বে জমির সাড়ে ৬ হাজার মণ পাকা ধান কেটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এসব জমির চাষিদের মারধর করেন। মারধরের ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর আহতও হন। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্য ৩ জন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বিএনপির সভাপতি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের কাছে গিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে ভুক্তভোগী বোরো চাষি পরিবারের সদস্যদের দাবি।
এ বিষয়ে কথা বলতে মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি এ ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি দাবি করেন, জমির মালিক পক্ষ আমার কাছে কাগজপত্র নিয়ে এসেছিল। সালিশি দরবারে দলিল যার, জমি তার মর্মে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় মাত্র। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা চাষিও না, জমির পত্তন কিংবা বর্গা নেয়নি তারা। জমির প্রকৃত মালিক হলেন উজানের জিরাতিরা। তাদের কাছ থেকে পত্তন নিয়ে মিঠামইনের চাষিরা বোরো চাষ করেছিলেন। আর তারাই তাদের চাষ করা বোরো ধান কেটে নিয়েছেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ভূমিদস্যু সাবেক রাষ্ট্রপতির ভাই আবদুল হক নূরুর ইন্ধনে তার লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যরা প্রকৃত কারণ গোপন করে এমন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা সবাই ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবে সহিংসতা চালানোর মামলারও আসামি বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম জানান, ভুক্তভোগী চাষিরা মৌখিকভাবে তাকে জানালে তিনি তাদের জমি পত্তনের কাগজপত্র নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু তারা কাগজপত্র নিয়ে তার সঙ্গে আর দেখা করেননি। এছাড়া মারধরের বিষয়টি তার জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
