|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার ধুনটে সরকারি হাটের ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার মথুরাপুর হাট-বাজারের কসাইখানায় গরু-ছাগল জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধ রাখেন। মাংস কিনতে না পেরে ক্রেতারা বিপাকে পড়েন।
অভিযোগে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ী চলতি বছর ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় ধুনট উপজেলার মথুরাপুর হাট-বাজার ইজারা নেন। এখানে প্রতি শুক্রবার ও সোমবার হাট ছাড়াও প্রতিদিন সকাল-বিকাল বাজার বসে। ওই হাট-বাজারের কসাইখানায় প্রতিদিন একটি দোকানে গড়ে দুটি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয়। সরকারি বিধিমোতাবেক সব মাংসের দোকান থেকে দৈনিক ৩০ টাকা করে টোল আদায়ের নিয়ম রয়েছে; কিন্তু ইজারাদার অতিরিক্ত টোল দাবি করায় ব্যবসায়ীরা বাজারের কসাইখানায় মাংস বিক্রি বন্ধ রাখেন।
মথুরাপুর হাট-বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আজিবর রহমান বলেন, বাজারে প্রতিদিন গড়ে দুটি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে থাকেন। আগের ইজারাদারকে সপ্তাহে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা টোল দিয়েছেন। বর্তমান ইজারাদার প্রতিটি গরু জবাইয়ের জন্য এক হাজার টাকা করে টোল দাবি করেন। ওই হিসাবে সপ্তাহে কমপক্ষে ১৪ হাজার টাকা টোল দিতে হবে। এর প্রতিবাদে গরু-ছাগল জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
এদিকে বাজারে মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। ওই এলাকার মিজানুর রহমান জানান, বাড়িতে মেহমান আসায় বাজারে গিয়ে মাংস পাননি। ফলে তাকে মুরগি কিনে এনে অতিথি আপ্যায়ন করতে হয়েছে।
বগুড়ার ধুনটের মথুরাপুর হাট-বাজারের ইজাদার জাহাঙ্গীর আলম ব্যবসায়ীদের কাছে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বাজারের কসাইখানায় মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চোরাই ও রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে থাকেন। সরকারি নিয়ম মেনে তাদের পাকা ক্রয় রশিদ দেখিয়ে সুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করতে বলা হয়েছে। এ কারণে তারা মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার হিমেল রিছিল জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
