|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে উপজেলার মাধবপুর এলাকার পুরাতন ডাক বাংলো সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, ফজরের নামাজ পড়তে রেললাইনে হাটতে বের হলে ছিন্নবিচ্ছিন্ন
তিন যুবকের লাশ দেখতে পান মুসল্লিরা। পরে কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটস্থলে
পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল মোল্লা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রামগামী
রেলপথের ডাউন লাইনের ১৬২/০১-এর মাদবপুর এলাকায় তিন যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই
মারা যান। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেল রাস্তার পশ্চিম লাইনে তিনটি লাশ খণ্ড বিখণ্ড
হয়ে পরে আছে। একজনের মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে দূরে পরে আছে। আরেকজনের কোমরের নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন
হয়ে গেছে।
স্থানীয় একজনের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবক ভোর
সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জীবিত ছিল। তিনি পানি খেতে চেয়েছিল। তবে পরিচয় বলার আগেই মারা যান
তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল বলেন, ‘লোক মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। এ সময় দুই যুবককে জীবিত পাই। তাদের পা ও হাত কাটা ছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। তারা বাঁচার জন্য আকুতি করছিল ও পানি চাইছিল। এর কিছুক্ষণ পরই একে একে দুই যুবকই মারা যান।’
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলের ঠিক ৫০ গজ দূরে রেললাইনের পাশে একটি পরিত্যক্ত
ঘর রয়েছে। এ ঘরটিতে প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করত বখাটেরা। নিহত যুবকদেরকে এলাকায় কখনও
দেখা যায়নি।’
বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, ‘ভোর ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার
মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমি সর্বপ্রথম ঘটনাস্থলে আসি। রেললাইনের উপরে খণ্ড-বিখণ্ড
মরদেহগুলো দেখতে পায়। পরে রেলওয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানায়।’
রসুলপুর (সদর) স্টেশন মাস্টার প্রশেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, মাধবপুর এলাকায়
ট্রেনে কাটা পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কোন ট্রেনে তারা কাটা পড়েছে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে
বলা যাচ্ছে না। রাত ২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত
অনেকগুলো আন্তঃনগর ও মালবাহী ট্রেন যাতায়াত করে।
