মাটি সরে দেবে গেছে সেতু, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গাজীখালী নদীর ওপর অবস্থিত বিকল্প বেইলি সেতুটি মৃত্যু ফাঁদে রূপ নিয়েছে। প্রায় এক দশক আগে নির্মিত এ সেতুটি সংস্কার হয় না দীর্ঘদিন। সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের ফলে সেতুর একাংশ পাঁচ ফুট দেবে গিয়ে হেলে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সংযোগ সড়কের সঙ্গেও। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে বেইলি সেতুটি পার হচ্ছে স্থানীয়রা
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থী ও হাজার হাজার
মানুষ এ বেইলি সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার হাটের দিনে এবং সাটুরিয়া
৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে ধামরাই, নাগরপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে
মানুষজন এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন।
সম্প্রতি সেতুটি ঘুরে দেখা যায়, সেতুর এক-তৃতীয়াংশ দেবে গেছে। পাটাতনের
বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর পাশ দিয়েই রয়েছে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের
লাইন, যা আরও বড় বিপদের আশঙ্কা তৈরি করছে। এলাকাবাসীর শঙ্কা, বিদ্যুতের খুঁটিও যে কোনো
সময় ধসে পড়তে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. লিয়াকত আলী বলেন, ‘প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সবাই এ
সেতু পার হচ্ছে। দ্রুত সেতুটি সংস্কারের প্রয়োজন।’ সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক
বলেন, ‘সেতুর পাটাতন নড়বড়ে হয়ে গেছে। আমরা নিজের খরচে কিছু পাটাতন আটকানোর ব্যবস্থা
করেছি। কিন্তু সেটি তো স্থায়ী সমাধান নয়।’
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার সরকার বলেন, ‘সেতুটি নিচু করে নির্মাণ
করায় বর্ষায় পানিতে ডুবে যায়। কচুরিপানায় ভরে দুর্গন্ধ ও মশার উৎপাত হয়। স্থায়ী উচ্চ
সেতু নির্মাণই একমাত্র সমাধান।’
সেতুর সঙ্গেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি সাইনবোর্ড দেখা গেছে। সতর্কবার্তা
দিয়ে ওই সাইনবোর্ডে লেখা, ‘এই বিকল্প সেতু দিয়ে চলাচল নিষেধ’। কিন্তু উপায় না থাকায়
জনসাধারণ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছেন।
সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মামুনুর অর রশিদ
বলেন, ‘বিকল্প এ সেতুটি জরুরি যোগাযোগের পথ। রোগীরা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সেতু পার হচ্ছে।
দ্রুত সংস্কার হলে সকলের উপকার হবে।’
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দেবাশীষ সাহা বলেন,
‘সেতুটি একটি অস্থায়ী ডাইভারশন হিসেবে তৈরি হয়েছিল। জনসাধারণের অনুরোধে এটি সরানো হয়নি।
তবে সেতুটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শিগগিরই নেওয়া হবে।’
