ভৈরবে গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টায় মামলা
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে এক গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূ আইরিন বাদী হয়ে ভৈরব বাজারের ব্যবসায়ী শাকিল ও আদিল নামে দুইভাইকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
জানা গেছে, স্বামীর পাওনা টাকা চাইতে গেলে গৃহবধূ আইরিনের শরীরে সয়াবিন তেল ঢেলে আগুন দিতে উদ্যত হয় দুই ভাই শাকিল ও আদিল। তারা শহরের কমলপুর এলাকার আবদুল কাশেম মিয়ার ছেলে। অভিযোগকারী গৃহবধূর বাড়িও একই এলাকায়। তার স্বামীর নাম নুর আলম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ আইরিনের স্বামী নূর আলমের কাছ থেকে তিন বছর আগে পশারী ব্যবসায়ী শাকিল বন্ধুত্বের খাতিরে ১২ লাখ টাকা ধার নেয়। কথা ছিল, কিছুদিন পর টাকা ফেরত দিয়ে দিবে।
তিনবছর অতিবাহিত হলেও পাওনা টাকা ফেরত না দেওয়ায় গত বুধবার বিকেলে তার স্ত্রী আইরিন টাকা চাইতে ভৈরব বাজার মিষ্টির পট্রিতে তার দোকানে যায়। স্বামীর অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য জরুরিভিত্তিতে টাকা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
আইরিন তার স্বামীর পাওনা টাকা থেকে দুই লাখ টাকা চাইলে শাকিল ও তার ভাই আদিল তাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে পাওনা টাকা নিয়ে তার সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু হলে শাকিল তাকে গালাগালি করে।
এক পর্যায়ে দুই ভাই তার দোকানে রাখা টিন থেকে সোয়াবিন তেল নিয়ে আইরিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। এ সময় বাজারের লোকজন দেখে শাকিলের দোকান থেকে আইরিনকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে আইরিনের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, শাকিল তিন বছর যাবত আমার ভগ্নিপতির পাওনা ১২ লাখ টাকা ফেরত দিচ্ছে না। গত বুধবার আমার বোন টাকা চাইতে গেলে তারা দুই ভাই মিলে তাকে শরীরে সয়াবিন তেল ঢেলে হত্যার চেষ্টা করে।
আইরিন বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ, তার চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। তিন বছর আগে টাকা ধার নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না। ঘটনার দিন আমি ২ লাখ টাকা চাইলে শাকিল তার ভাইকে নিয়ে আমার শরীরে তেল ঢেলে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় তারা আমাকে শ্লীলতাহানি করেছে। পরে লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। ঘটনার বিচার ও টাকা ফেরত পেতে আমি মামলা করেছি।
ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফূয়াদ রুহানী জানান, এ ঘটনায় ওই নারী বৃহস্পতিবার রাতে থানায় দুজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
