জরিপের কথা বলে স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিক্ষা জরিপের তথ্য সংগ্রহের কথা বলে বাড়িতে ঢুকেন দুই নারী। পরে তারা এক গৃহিণীকে অজ্ঞান করে ৪ ভরি স্বর্ণের ও ৫ ভরি রুপার অলংকার নিয়ে গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরে মাইলোড়া গ্রামে ঈশ্বর সাহার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত গোপাল চন্দ্র রায়ের ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী নরোত্তম রায়ের স্ত্রী সুমা রানী রায়কে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যান ওই দুই নারী। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী সুমা রানী রায় জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে অল্প বয়সি দুই মহিলা বাড়িতে ঢুকেন। তারা শিক্ষা জরিপ করতে আসছেন বলে জানান। ঘরের সামনে ভুক্তভোগীর খুব কাছে এসে দুজনের একজন গায়ের ওড়না ঝাড়া দেন। এ সময় সুমার চোখ গরম হয়ে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। তখন তারা সুমার ঘরে গিয়ে ভুক্তভোগীর স্বর্ণ ও রুপার সব অলংকার তাদের দিতে বলেন।
সুমা রানী তখন তাদের পরিবারের লোকজন মনে করে বলে দেন- বালিশের ভেতরে স্বর্ণের গলার হার, কানের দুল, বালা, বেসলেট আছে। অজ্ঞান পার্টির দুই নারী তাদের কাছে থাকা চাকু বের করে বালিশ কেটে স্বর্ণের অলংকার নিয়ে নেন। পরে আলমারি থেকে আরও পাঁচ ভরি রুপার অলংকার বের করে দেন ভুক্তভোগী নারী। এসব স্বর্ণালংকার নিয়ে অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্য চলে যান। এরপর ভুক্তভোগী নারী ধীরে ধীরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে ভুক্তভোগীর শিশু মেয়ে ঘরে এসে মাকে অজ্ঞান দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে ভুক্তভোগীর মাথায় পানি ঢেলে জ্ঞান ফেরান।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রবিউল আওয়াল জানান, খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ওই সময় সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
