পোস্টারে ‘ফাঁসি চাই’ লেখা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৩ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে হত্যা মামলার আসামি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জিএম শামীমের ছবি লাগিয়ে ‘ফাঁসি চাই’ পোস্টার লেখা নিয়ে আরেক হত্যা মামলার আসামি বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় গ্রুপের ৫ জন আহত হন।
আহত আনোয়ার তালুকদারকে (২৫) উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রায়পুরের উত্তর চরবংশী ইউপির কুচিয়ামারা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি জানতে পেরে উভয় গ্রুপের লোকজন পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার হত্যা মামলায় শামীম গাজি হাইকোর্ট থেকে ২০ দিনের জামিন পেয়ে শুক্রবার ওই গ্রামে গিয়ে আনোয়ারের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়।
বিএনপির দলীয় সূত্র ও পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গত ৭ এপ্রিল উত্তর চরবংশী ইউপির খাসেরহাট বাজার ও বেড়িবাঁধের উপর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষক দল নেতা জিএম শামীমের অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে শামীমের অনুসারী যুবদল কর্মী ও স্পেন প্রবাসী সাইজ উদ্দিন দেওয়ান নিহত হন। এ ঘটনায় ১৪ এপ্রিল ফারুক কবিরাজের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী জসিম উদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় প্রায় ৩০ জন আহত, ১৫টি ঘরবাড়ি, ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
এতে ফারুক কবিরাজের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী জসিম উদ্দিন বেপারী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৪ আসামিকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর কারাগারে হাজির করলে বিচারক সবাইকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এদিকে স্পেন প্রবাসী সাইজুদ্দিন হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
জসিম হত্যায় তার কৃষক বাবা ফজল করিম বেপারী বাদী হয়ে ১৬ এপ্রিল ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী মোস্তফা কামাল ও রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব জিএম শামীমসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৮০ জনকে আসামি করা হয়। জসিম পেশায় ঢালাই শ্রমিক ছিলেন।
লক্ষ্মীপুর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর ও রামগঞ্জ সার্কেল) জামিলুল হক বলেন, জসিম হত্যা মামলার আসামি কৃষক দল নেতা শামীম গাজি হাইকোর্ট থেকে ২০ দিনের জামিন পান। তার ছবি দিয়ে পোস্টার লাগানো নিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে ফারুক কবিরাজের অনুসারী আনোয়ার তালুকদারকে মারধর করে শামীমসহ তার লোকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিবেশ শান্ত করা হয়।
