Logo
Logo
×

সারাদেশ

খাতা না দেখানোয় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

Icon

বেলকুচি-চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০০ এএম

খাতা না দেখানোয় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে সহপাঠীকে খাতা না দেখানোয় ইমন হোসেন (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার বিকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার সকালে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ইমন ইসলামপুর গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে। সে খুকনী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে গেলে নিহত ইমনের বড় ভাই আরাফাত, চাচা শহিদুল এবং স্বজনরা জানান, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল ইমন। ১৭ এপ্রিল এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালে সহপাঠীরা কমন না পড়ায় ইমনের খাতা দেখে লিখতে চায়। ইমন খাতা না দেখানোয় পরীক্ষা শেষে মারপিট করে সহপাঠীরা। পরে বিষয়টি ইমন বাড়িতে এসে না বললেও পরদিন ১৮ এপ্রিল বিকালে ইমনের দুই সহপাঠী রাব্বি এবং রাজিম বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই দিন বিকালে ইমনকে আবারও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাসায় ফোন দিয়ে জানায় এক্সিডেন্ট হয়েছে।

এ সময় স্বজনেরা ইমনকে উদ্ধার করে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অস্ত্রোপচার করে ইমনের মাথা ভেঙে যাওয়া খুলি জোড়া দেওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়িতে আনলে শুক্রবার অবস্থার অবনতি হয়। এ সময় আবারও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিয়ে ইমনের স্বজনরা এনায়েতপুর থানা এবং বেলকুচি থানায় গেলেও সীমানা টানাটানিতে কোনো থানাই সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেন ইমনের বড় ভাই আরাফাত এবং চাচা শহিদুল।

এদিকে ইমনকে বাড়ি থেকে রাব্বি এবং রাজিম নামের দুই সহপাঠী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেছে বলে হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনে ইমন নিজেই একটি চিরকুটে লিখে রেখেছে।

এ বিষয়ে গ্রাম্য প্রধান মো. লাল মিয়া মোল্লা জানান, মারপিটের ঘটনা শোনার পর আরও গ্রামের লোকজন নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং সেখানকার লোকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন ৮-১০ জন মিলে ইমনকে মারপিট করে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। কিন্তু কেন তাকে মারধর করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি জানেন না।

বিষয়টি নিয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানী জানান,  জিডিমূলে লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি থানায় না থাকায় বিস্তারিত জানার জন্য এসআই মো. আনোয়ারুলের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে এসআই মো. আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।

তবে বেলকুচি থানার ওসি জাকারিয়া হোসেন জানান, ঘটনা শুরু এবং শেষসহ সার্বিক পর্যালোচনা করে দেখে মামলা গ্রহণ করা হবে। এখনো কেউ মামলা করতে আসেনি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাব্বি এবং রাজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সিরাজগঞ্জ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম