মনোহরগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক। ওই সময় দুইপক্ষের সংঘর্ষে স্থানীয় বাজারের প্রায় ১২টি দোকানে ভাঙচুর করেন হামলাকারীরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলা মৈশাতুয়া ইউনিয়নের আশিরপাড় বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের উদ্ধার করে মনোহরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পার্শ্ববর্তী লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

বুধবার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও আশিরপাড় বাজার পরিচালনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মৈশাতুয়া ইউনিয়নের আশিরপাড় গ্রাম ও খানাতুয়া গ্রামের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার প্রতনের পর বাজারের পরিচালনা, খাসজমি দখল ও স্কুল মাঠের খেলাধুলা নিয়ে গ্রামবাসীর  দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।এতে আহত হন কয়েকজন। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ খানাতুয়ার গ্রামের কয়েকজন যুবক একত্রিত হয়ে আশিরপাড় বাজারের ফল ব্যবসায়ী আরাফাতের (২২) ওপর হামলা করে। এতে  উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। 

মনোহরগঞ্জ থানার ওসি বিপুল চন্দ্র দে যুগান্তরকে বলেন, আশিরপাড় বাজারে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।