বরগুনা বিএনপি অফিস ভাংচুর
শম্ভুসহ ১৫৮ আ.লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
গ্রেফতার ১
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা ও বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা ফাটিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অভিযোগে বরগুনা সদর থানায় ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বরগুনা জেলা বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নইমুল ইসলাম বুধবার রাতে মামলাটি করেন।
এ মামলায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবির, বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, সাবেক মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন, আমতলী পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মতিয়ার রহমান, বেতাগী পৌরসভা সাবেক মেয়র এবিএম গোলাম কবির, বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাজ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ অলি, বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, তালতলী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি উল কবির জোমাদ্দারসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সাংবাদিক, আইনজীবী ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
মামলায় ইতিমধ্যে আক্তারুজ্জামান বাদলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি বুধবার অন্য একটি মামলায় জামিন লাভ করে বের হওয়ার পর তাকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেফতার করে।
মামলার বাদী এসএম নইমুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ আসামিরা শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করে বরগুনা থেকে বিএনপিকে উৎখাত করতে মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল টিভি ভাঙচুর করে। অফিসের সামনের সড়কে মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্রে আসামীরা গান পাউডার দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। কতেক আসামিরা বিএনপি অফিসে ও বাহিরে হাত বোমা ফাটায়।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন বলেন, মামলায় ঘটনা দেখিয়েছে ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ। এ সময় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ছিল না। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। এ সময় কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সভাপতি, মো. জাহাঙ্গীর কবীর সাধারণ সম্পাদক ও গোলাম সরোয়ার টুকুকে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এরপর আর কমিটি হয়নি। দীর্ঘ দুই বছর পর একটি কাল্পনিক ঘটনা দেখিয়ে মামলা করে। এ ঘটনা আমরা কিছু জানি না।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ ও তাদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর নামে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
