খনন হচ্ছে শত বছরের ভাড়ানি খাল, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পিরোজপুর পৌরসভার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ভাড়ানি খাল। অবৈধ দখলদার এবং মাটি ও আর্বজনায় শত বছরের পুরোনো খালটি বর্তমানে মৃত প্রায়। অবশেষে এ খালের পুনঃখনন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের থেকে খাল পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে।
শুক্রবার জেলা প্রশাসন খালের দুই কিলোমিটারজুড়ে গড়ে ওঠা অর্ধশতাধিক অবৈধ
স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এতে বেজায় খুশি স্থানীয়রা। প্রশাসনের সঙ্গে খাল পুনঃখনন
কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে তারা।
জানা গেছে, পৌর শহরের বুক চিড়ে বয়ে চলা খালটি দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ও
২০-২২ ফুট প্রস্থ। খালের দুপাশজুড়ে দীর্ঘদিন
ধরে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। ফলে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত ও এলাকায়
জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছিল। এখন এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে খালটির আগের রূপ ফিরিয়ে আনা
হচ্ছে।
উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে খালের দুপাশের বেশ কয়েকটি অবৈধ
স্থাপনা ও ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত কালভার্ট ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু পাকা স্থাপনাও
রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পৌর ভূমি অফিসের একটি সূত্র জানায়, ভাড়ানি খাল দখলমুক্ত করে খাল খননের
বিষয়ে প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের সার্ভেয়ারদের সমন্বয়ে একটি
টিম দখলকৃত স্থানগুলো চিহিৃত করে লাল নিশানা টানিয়ে দেয়। এছাড়া খালের দুই কিলোমিটার
অংশজুড়ে ৩০টিরও অধিক স্থান দখল মুক্ত করতে চিহ্নিত করে।
সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুস সালাম বলেন, ‘এক সময় ভাড়ানি খাল দিয়ে বড়
বড় নৌকা চলাচল করতো। ব্যাবসা বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে এটি ব্যাবহার হতো। বারবার
পুনঃখনন হলেও খালের পাড়ের বাসিন্দারা খালটিকে ময়লার ভাগাগে পরিণত করেছিল।’ তিনি আরও বলেন,
‘এ খাল শুধুমাত্র পানি প্রবাহের জন্যই নয়, বরং শহরের পরিবেশ সুরক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, ‘খালের যে দূষণ ও দখল ছিল
তাতে পানি প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। বর্তমানে পলিথিন ও ময়লা আবর্জনার কারণে খালটি
ভরাট হতে চলছে। আশা করি খালের দুপাশের বাসিন্দারা এ কাজের সুফল পাবেন।
সরকারি বরাদ্ধ ছাড়াই খালের সংস্কার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করা
হচ্ছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
