Logo
Logo
×

সারাদেশ

জরাজীর্ণ ভবনেই পড়ালেখা, জীবন ঝুঁকিতে শিক্ষক-শিশুরা

Icon

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম

জরাজীর্ণ ভবনেই পড়ালেখা, জীবন ঝুঁকিতে শিক্ষক-শিশুরা

পটুয়াখালীর দশমিনায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রাণ হারানোর শঙ্কা নিয়ে পড়ালেখা করছেন শত শত শিক্ষার্থীরা। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনায় প্রাণ যেতে পারে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান পরিচালনা হওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। 

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষায় শূণ্য পদের ছড়াছড়িতে ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। জনবল সংকটে ব্যহত হচ্ছে দাপ্তরিক কার্যক্রম। 

জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোপালদী নিজাবাদ সিংহের হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পূর্ব রনগোপালদী, চর বাঁশবাড়িয়া, দক্ষিণ দাসপাড়া, বাঁশবাড়িয়া আকরাম খান ও পশ্চিম আলীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রাণ হারানোর শঙ্কায় আছেন শিক্ষকসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এতে চরম ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। যে কোনো সময় দুর্ঘটনায় প্রাণ যেতে পারে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের। 

গোপালদী নিজাবাদ সিংহের হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. নুরুন্নাহার আসমা বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা চরম আতঙ্কে আছেন। কাঁচা মাটির সড়ক ও এক তলা বিশিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হওয়ায় বর্ষায় কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। অতিদ্রুত বহুতল ভবন নির্মাণ জরুরি।

দক্ষিণ দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. মরিয়ম বেগম বলেন, শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পড়ালেখা করছেন। একই অবস্থা শিক্ষকদেরও। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি। 

একাধিক অভিভাকরা যুগান্তরকে জানান, তাদের সন্তানদের জীবনের ঝুঁকি জেনেও তারা বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন। বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণের জন্য পাঠিয়ে এক প্রকার দুশ্চিন্তা নিয়ে তারা সময় কাটান। অভিভাবকরা অতিদ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, উপজেলার ১৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে প্রায় ৯০ জন প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন চাহিদা অনুযায়ী পাঠগ্রহণ থেকে। 

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উচ্চমান হিসাব রক্ষক, হিসাব রক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটরের পদ শূণ্য থাকায় ব্যাহত হচ্ছে দাপ্তরিক কার্যক্রম। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষকরা। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হিটলারুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা পাঠানো হয়েছে। দাপ্তরিক শূণ্য পদ এবং শিক্ষক চাহিদার বিষয়ও কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোল্লা বক্তিয়ার রহমান যুগান্তরকে জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয় তদন্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হবে। বরাদ্দ দিয়ে মেরামতের উপযোগী না হলে নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দশমিনা জরাজীর্ণ পড়ালেখা ঝুঁকি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম