Logo
Logo
×

সারাদেশ

চিলমারীতে বিআইডব্লিউটিএ-বিআইডব্লিউটিসির সমন্বয়হীনতায় চলছে না ফেরি

Icon

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১১:০০ পিএম

চিলমারীতে বিআইডব্লিউটিএ-বিআইডব্লিউটিসির সমন্বয়হীনতায় চলছে না ফেরি

প্রায় সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে ফেরি চলাচল নিয়ে হইচই শুরু হলেও বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির সমন্বয়হীনতায় শুরু হচ্ছে না ফেরি চলাচল। 

রোববার সকালে রৌমারী ঘাটে অপেক্ষমাণ ফেরি দুটি চিলমারীতে আসার কথা থাকলেও দুই বিভাগের সমন্বয়হীনতায় তা হয়নি।

জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্য সংকটের কারণে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়। এতে কুঞ্জলতা ও কদম নামে ফেরি দুটি প্রায় সাড়ে ৪ মাস ধরে রৌমারী ঘাটে পড়ে থাকে। ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার (৩ মে) ফেরি পারাপারের জন্য ঘাট এবং রাস্তা প্রস্তুত বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ। 

তবে তাৎক্ষণিক রাস্তায় যানবাহন না থাকায় ফেরি দুটি রৌমারী ঘাট থেকে ছাড়া হয়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়ে চার মাস পর চিলমারী-রৌমারী ফেরি চলাচল শুরু শিরোনামে সংবাদও প্রকাশিত হয়। 

বিআইডব্লিউটিসির তথ্যমতে, রোববার সকাল থেকে ফেরি কদম ও কুঞ্জলতা নিয়মিত পারাপার হওয়ার কথা। শেষপর্যন্ত বহুল কাঙ্ক্ষিত সেই ফেরি আর চালু হয়নি। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির সমন্বয়হীনতায় গত সাড়ে চার মাস ধরে ফেরি দুটি বন্ধ ছিল। দুই দিন ধরে ঢাক-ঢোল পেটানোর পর আজও ফেরি চালু হচ্ছে না সেই একই কারণে। 

এদিকে ফেরি চলাচলের খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত কুড়িগ্রামের ফেরিতে পারাপারকারী যানবাহন চালকরা। 

নাগেশ্বরীর ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ফেরি বন্ধ থাকায় পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ে যাতায়াত করতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। ফেরি চালু হলে এ পথ আরও সহজ এবং সাশ্রয় হবে।

বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, নাব্য সংকটের কারণে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার ঘাট ও রাস্তা প্রস্তুত হয়েছিল। হঠাৎ পানি কমে গিয়ে নাব্য সংকটে আজও ফেরি চালানো সম্ভব হয়নি।

বিআইডব্লিউটিএর পোর্ট অফিসার পুতুল চন্দ্র বলেন, মনে হয় ফেরি চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত পানি নেই। এ বিষয়ে পাইলটদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।  

বিআইডব্লিউটিএর ভারপ্রাপ্ত প্রধান পাইলট মো.মাহবুবুর রহমান জানান, ফেরি চলতে ৬ ফুট পানি প্রয়োজন। ড্রেজিং থেকে পানি কম থাকার কথা জানানো হয়েছে। আমরা আগামীকাল সকালে গিয়ে পানি মাপব। পানি ঠিক থাকলে ফেরি নিয়ে আসা হবে অন্যথায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

চিলমারী ফেরি রৌমারী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম