তালের রস থেকে তৈরি হচ্ছে গুড় ও পাটালি
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার দেউলী গ্রামে তালের রস থেকে তৈরি হচ্ছে খাঁটি গুড় ও পাটালি। প্রতি কেজি গুড় বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। গত ১৫ চৈত্র থেকে দামুড়হুদার দেউলী গ্রামের চারজন গাছি এ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এ মৌসুমে গাছিরা ১ হাজার ২শ কেজি গুড় উৎপাদন করবেন বলেও জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দেউলী গ্রামে মৃত আজিম হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম মণ্ডল তার নিজ জমিতে থাকা ৩০টি তালগাছ থেকে রস আহরণের চিন্তাভাবনা করেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেন রস থেকে তৈরি করা হবে গুড়। সেই লক্ষ্যে গত ১৫ চৈত্র থেকে রস আহরণ শুরু হয়। এরপর প্রক্রিয়া শুরু হয় গুড় তৈরির। গুড় তৈরির পর সেসব গুড় বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে। চলতি মৌসুমে ৫ লাখ টাকার গুড় বিক্রির আশা করছেন তারা।
গাছি শের আলী জানান, আমরা ৪ জন গাছ পরিচর্যার কাজ শুরু করেছি। প্রতিদিন ৬০০ টাকা হাজিরায় আমরা কাজ করি। দিনে দুবার গাছে ওঠা-নামা করে রস আহরণ করতে হয় আমাদের। সকালে বেশি গুড় হয়, বিকালে গুড় হয় কম। ২ মাস পুরোদমে গাছ থেকে রস আহরণ করে গুড় তৈরি করা যাবে।
গাছের মালিক ইব্রাহিম মণ্ডল জানান, পৈতৃক সূত্র থেকে পাওয়া জমিতে থাকা তালগাছ থেকে তার এক বন্ধুর পরামর্শে রস আহরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য ৪ জন গাছির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ১৫ চৈত্র থেকে গাছের পরিচর্যা শুরু করি। এক মাস পর গাছ থেকে রস আহরণ শুরু হয়। প্রথম প্রথম রস কম হলেও এখন রস এবং গুড় দুটোই বেশি পরিমাণে তৈরি হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে চাহিদা অনুযায়ী পাটালি।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, তালগাছ খুবই উপকারী। তালগাছ জমির ক্ষতি করে না। ওই জমি থেকে অন্যান্য ফসল উৎপাদন করা যায়। তাল গাছ থেকে রস আহরণ করে গুড় তৈরি করছে এটা একটি বাড়তি টাকা উপার্জনের মাধ্যম। এই কৃষি উদ্যোক্তা ইব্রাহিম মণ্ডল প্রশংসার দাবিদার।
