|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের প্রবেশমুখে সুগন্ধা পয়েন্টে আলোচিত শত কোটি টাকার মূল্যের জমি দখল ও জাল দলিল তৈরির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুপুরে দুদকের কক্সবাজার জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া বাবুর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান শেষে বাবু সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি খাসজমি দখল করে শতাধিক দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে জাল দলিল তৈরি করে এ জমি ভাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে।
সম্প্রতি এ জমি ঘিরে একাধিক গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, যা প্রশাসন ও সচেতন মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দেয়।
তবে জমির মালিকানা দাবি করে পালটা অভিযোগ করেছেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সচ্চিদা নন্দ সেন গুপ্ত।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই জমি আমার বাবা নৃপেন্দ্র মোহন সেন গুপ্ত ১৯৩৮ সালে ক্রয় করেন। ১৯৬৩-৬৪ সালে সরকারের পক্ষ থেকে আংশিক জমি অধিগ্রহণ করা হলেও বাকি অংশ আমাদের দখলে ছিল। ১৯৯১ সালে আমার নামে নামজারি সম্পন্ন হয় ও আমি নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছি।
সচ্চিদা নন্দ সেন গুপ্ত অভিযোগ করেন, একটি প্রভাবশালী মহল জাল দলিল তৈরি করে আমার জমি দখলের ষড়যন্ত্র করছে। আমি ইতোমধ্যে দুদক ও কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
কক্সবাজারে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান যুগান্তরকে বলেন, দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ইতোমধ্যে দুজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে—কক্সবাজার সদর উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিউল্লাহ নিজামী ভূমি অফিসের মূল রেকর্ড বই থেকে একটি খতিয়ানের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন। এবং শত কোটি টাকা মূল্যের জমি আত্মসাৎ করার জন্য একটি চক্রের পক্ষে জাল দলিল তৈরির সুযোগ করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, এটি একটি বিচারাধীন বিষয়। একজন ব্যক্তি এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন। মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।
