বরগুনার তালতলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এআই টেকনিশিয়ান আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, অধিদপ্তরের মাধ্যমে গবাদিপশু দেওয়ার কথা বলে ৩৫ জনের কাছ থেকে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছেন তিনি।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভুক্তভোগীদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মরানিদ্রা এলাকার বেল্লাল খাঁন।

অভিযুক্ত আব্দুল কাদের গত দুই মাস ধরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে অনুপস্থিত রয়েছেন।

জানা গেছে, আব্দুল কাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে গবাদিপশু দেওয়ার কথা বলে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মরানিদ্রা এলাকার ৩৫ জনের কাছ থেকে এনআইডি কার্ড, ছবি ও বিকাশের মাধ্যমে জন প্রতি পাঁচ হাজার টাকা নেন। দীর্ঘদিন পরও গবাদিপশু না দিলে ভুক্তভোগীদের সন্দেহ হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে টালবাহানা শুরু করেন আব্দুল কাদের। এরপর থেকেই তিনি আত্মগোপনে আছেন।

ভুক্তভোগী পারভীন বেগম বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে টেকনিশিয়ান আব্দুল কাদের আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুস নেয়। চারমাস পেরিয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজ নেই। টাকার জন্য তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার পরিবারের লোকজন আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।’

ইউএনওর কাছে অভিযোগ দেওয়া বেল্লাল খাঁন বলেন, ‘গবাদিপশু দেওয়ার কথা বলে বিধবা, প্রতিবন্ধী, ক্যানসারে আক্রান্তসহ ৩৫ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন আব্দুল কাদের। কিন্তু এখন পর্যন্ত গবাদিপশু দেয়নি। গত দুই মাস ধরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাদেকুর রহমান বলেন, ‘টেকনিশিয়ান আব্দুল কাদের দুই মাস ধরে অফিসে আসেন না। এর ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব দেননি।’

ইউএনও উম্মে সালমা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ওসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘ইউএনওর নির্দেশনা মতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’