Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাভারে পরিবারের বাধায় শহিদ শ্রাবণের লাশ তোলা হয়নি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, ঢাকা উত্তর

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১০:১৮ পিএম

সাভারে পরিবারের বাধায় শহিদ শ্রাবণের লাশ তোলা হয়নি

শহিদ শ্রাবণ গাজী। ফাইল ছবি

পরিবারের আপত্তির মুখে শহিদ শ্রাবণ গাজীর লাশ কবর থেকে না তুলেই ফিরে যান ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সিআইডির সদস্যরা।

ধর্মীয় অনুভূতি বিবেচনা করে সাভারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ শিক্ষার্থী শ্রাবণ গাজীর লাশ কবর থেকে তুলতে দেয়নি তার পরিবার। 

মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তারের নেতৃত্বে ময়নাতদন্তের জন্য ডেইরি ফার্ম আবাসিক এলাকার কবরস্থান থেকে শহিদ শ্রাবণ গাজীর লাশ তুলতে যায় সিআইডির একটি দল।

খবর পেয়ে কবরস্থানে ছুটে যান শহিদ শ্রাবণ গাজীর পরিবারের সদস্যরা। এ সময় ধর্মীয় অনুভূতি বিবেচনায় কবরস্থান থেকে লাশ তুলতে বাধা দেন তারা। পরে পরিবারের আপত্তির মুখে লাশ না তুলেই ফিরে যান ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সিআইডির সদস্য।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তার জানান, আদালতের নির্দেশে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সিআইডির একটি দল শহিদ শ্রাবণ গাজীর লাশ কবর থেকে তুলতে এসেছিলেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা চাননি দীর্ঘদিন পর কবর থেকে তাদের সন্তানের লাশ তোলা হোক। তাদের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা ফিরে যাচ্ছি। যেহেতু আদালতের নির্দেশনায় আমরা গিয়েছিলাম, আমরা বিষয়টি আদালতকে সেভাবেই অবগত করব।

শহিদ শ্রাবণ গাজী মালয়েশিয়ার টুঙ্কু আব্দুল রহমান ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৬ জুলাই দেশে আসেন তিনি। ৫ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্র-জনতার পদযাত্রায় যোগ দেন তিনি। পদযাত্রাটি সাভারে পৌঁছার পর হঠাৎ একটি গুলি এসে শ্রাবণের মাথায় লাগলে মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রাবণই প্রথম যুবক, যিনি গত ৫ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া পদযাত্রায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। 

এ ঘটনায় শহিদ শ্রাবণের বাবা মান্নান গাজী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত দেওয়া হয় সিআইডিকে। তারাই লাশ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল।

শহিদ শ্রাবণ লাশ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম