চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধের ঘটনায় দুই মামলায় ২২ নেতা কারাগারে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইমাম রইস উদ্দিন হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি থেকে আটক আহলে সুন্নাত ও ইসলামী ছাত্রসেনার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। নগরীর পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুটি মামলায় ২২ নেতাকর্মীকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ইমাম রইসের খুনি এবং অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশের সামনে নেতাকর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকালে নগরীতে কালো পতাকা মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রসেনা।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়।
বিবাদীপক্ষের আইনজীবী ও ইসলামি ফ্রন্ট নেতা অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, সোমবার ইমাম রইস হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী সড়ক অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল। ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হলেও পুলিশের উপস্থিতিতে হেলমেট পড়ে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আহলে সুন্নাতের কর্মী, মাদ্রাসা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আলেম-ওলামাদের ওপর অতর্কিতে নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তারা অনেককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। হামলাকারীদের কেউ কেউ জামায়াত-শিবিরের কর্মী; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে আহলে সুন্নাত ও ছাত্রসেনার ২২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আদালতে চালান দিয়েছে। আদালতে তাদের জামিন চাইলেও আবেদন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠানো হয়।
চান্দগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় ৯ জন এবং পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা মামলায় ১২ জনকে সুনির্দিষ্টসহ অজ্ঞাতানামা অনেককে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত কালো পতাকা মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম সোলায়মান ফরিদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদুল আলম।
মুহাম্মদ ওসমানের সভাপতিত্বে ও সভায় প্রধান অতিথি সোলায়মান ফরিদ, ছাত্রসেনার আহ্বানে সোমবারের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, বিগত সময়ে পুলিশের সঙ্গে হেলমেট বাহিনী থাকত। ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও সেই বাহিনীর মতো উগ্র গোষ্ঠী গতকাল ছাত্রসেনা ও আহলে সুন্নাতের নিরীহ, নিরস্ত্র কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। যে বা যারা হামলা করেছে অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং গ্রেফতারকৃত ছাত্রসেনা কর্মীদের অতি দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
একইসঙ্গে অবিলম্বে গাজীপুরে ইমাম রইস উদ্দিন হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি নিশ্চিত না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি প্রদান করেন তিনি।
এ সমাবেশ থেকে আগামী শুক্রবার প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
