ছদ্মবেশেও রক্ষা পেলেন না ৩৩ মামলার আসামি কাজী তারেক
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ছদ্মবেশেও রক্ষা পেলেন না কাজী তারেক। হত্যা, অস্ত্র, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরকসহ ৩৩ মামলার আসামি কাজী তারেক অবশেষে ধরা পড়েছেন যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের যশোর সরকারি এমএম কলেজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে কাজী তারেক ওরফে তরিকুল ইসলাম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি যশোর শহরের শংকরপুর পশু হাসপাতালের পেছনের পিয়ারু কাজীর ছেলে।
পুলিশ বলছে, তারেক দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চিহ্নিত হেরোইন কারবারি। তার বিরুদ্ধে ১৯টি মাদক মামলা, ৬টি চোরাচালান, ২টি বিস্ফোরক, ১টি খুন, ১টি অস্ত্র এবং ৪টি অন্যান্য মামলাসহ মোট ৩৩টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে আদালতের ১৫টি গ্রেফতারি পরোয়ানা।
তারেক চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভাইপো রাকিবকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলারও অভিযুক্ত। ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। রাকিব হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি ছিল তারেকের বহুমাত্রিক অপরাধজগতের কেবল একটি অংশ।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছদ্মবেশে পলাতক ছিলেন তারেক। দেড় মাস ধরে ছদ্মবেশে পুলিশ তাকে ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। সর্বশেষ সরকারি এমএম কলেজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
