মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান চন্দধূলে পাঁচশ টাকার লোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীর বাবা থানায় এমন অভিযোগ দায়ের করলেও পরিবারের দাবি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সিরাজদিখান ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধূল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তের নাম মো. সিয়াম মাঝি।

ওই ছাত্রীকে স্বজনরা উদ্ধার করে বুধবার রাতে সিরাজদিখান থানায় নিয়ে গেলে বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রীর নমুনা সংগ্রহ ও জবানবন্দির জন্য মুন্সীগঞ্জ আদালতে পাঠান সিরাজদিখান থানা পুলিশ।

জানা গেছে, ওই ছাত্রী (৮) সোমবার দুপুরে আম কুড়াতে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে যায়। সেখানে রাজীব মিয়ার আম বাগানে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা চন্দনধূল গ্রামের মোতালেব মাঝির ছেলে সিয়াম মাঝি মাদ্রাসার ছাত্রীকে ৫শ টাকার লোভ দেখিয়ে তার সঙ্গে আসতে বলে। ছাত্রী তার সঙ্গে যেতে না চাইলে সিয়াম জোরপূর্বক আম বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেছে ওই ছাত্রীকে। পর দিন বিষয়টি তার দাদিকে জানায়। পরে শিশুটিকে তার মা-বাবা ওই দিন সন্ধ্যায় সিরাজদিখান থানায় নিয়ে যান।

এ বিষয়ে এলাকার এরশাদ ঢালী বলেন, দুই সপ্তাহ আগে সিয়াম মাঝিকে মাদ্রাসায় ও হাজী মাসুদ রানার বাড়ি চুরির ঘটনায় গ্রামবাসী একত্রে মিলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল। রাজীব মিয়া, রাজন মিয়া গংদের সহযোগিতায় জামিন নিয়ে এলাকায় এসে আবার চুরি ও মেয়েদের ধর্ষণ শুরু করেছে।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সিয়াম মাঝি পলাতক রয়েছে।

মাদ্রাসার ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার শিশুকন্যাকে সিয়াম মাঝি ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনায় তার শাস্তি দাবি করছি।

সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ভিকটিমের জবানবন্দির জন্য মুন্সীগঞ্জ পাঠানো হয়েছে।