দৌলতপুরে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ পরিবারের দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা বকুল

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ০২:২৮ এএম

আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে শুধু ঘরবাড়িই পুড়ে ভস্মীভূত হয়নি; অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন
নিজেও প্রতিবন্ধী এক সন্তানও। প্রতিবেশী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় ঘরের আগুন
নেভানো সম্ভব হলেও বয়োবৃদ্ধা রাশিদা বেগমের মনের আগুন নেভাবে কে?
এমন পরিস্থিতিতে অসহায় পরিবারটির সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা, নতুন করে গৃহনির্মাণ
ও জীবিকা নির্বাহের যাবতীয় দায়িত্ব ভার কাঁধে তুলে নিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির
ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা কালিবাড়ীর কার্তিককুলে গতকাল রাত আড়াইটার
দিকে বৃদ্ধা রাশিদা বেগমের ও তার প্রতিবন্ধী দুই ছেলে বাদল (৫০) ও মান্নান (৪৫) এর
আশ্রয়স্থল আগুন লেগে পুড়ে যায়। পুড়ে যায় ঘরবাড়ি আসবাবপত্র। প্রতিবন্ধী এক সন্তানকে
নিরাপদে বের করতে পারলেও আরেকজনের মুখ মন্ডল ও শ্বাসনালি দগ্ধ হয়।
অসহায় পরিবারটি ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা না পেয়ে সারারাত খোলা আকাশের নিচে
কাটিয়েছিলেন। এমন তথ্য পেয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল
ইসলাম বকুল তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিজ অর্থায়নে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ভর্তি করে চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। এছাড়া ওই অসহায় পরিবারের ঘর নির্মাণ করে
দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন এই বিএনপি নেতা।
তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের দগ্ধ সদস্যদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক
শেখ সাদী, দৌলতপুর থানা বিএনপির সভাপতি মুর্শিদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন,
সাংগঠনিক সম্পাদক মিতুল মোড়ল, নারী নেত্রী সালমা বেগম ও মদিনা হাওলাদার প্রমুখ।