বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ফোরাম জোট। বৃহস্পতিবার গুলশান শুটিং ক্লাব থেকে এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়। পরে ফোরাম প্যানেলের নেতা মাহমুদুল হাসান খান বাবুর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জে ক্যাম্পেইনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ফোরাম জোট। 

বাবুর নেতৃত্বে এদিন নারায়ণগঞ্জে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যান পরিচালক প্রার্থীরা। সকাল থেকে দিনভর নির্বাচনে অংশ নেওয়া ফোরাম প্যানেলের পরিচালকরা নারায়ণগঞ্জের ভোটারদের কাছে গিয়ে প্রচারণা চালান। সকালে শুরুতেই ফোরাম প্যানেলের নেতা বাবুর নেতৃত্বে পরিচালক প্রার্থীরা বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ও বিজিএমইএর সদস্য ফজলুল হকের বাসায় আসেন। 

প্রার্থীরা ফজলুল হকের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ফোরাম প্যানেলের সব পরিচালক প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তারা প্যানেলের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে আগামী দিনে বিজিএমই নির্বাচনে নির্বাচিত হতে পারলে ফোরাম প্যানেলের লক্ষ্য ও করণীয় তুলে ধরেন। পরে তারা নিটকনর্সান কারখানার কর্ণধার জয়নাল আবেদিনের কাছে গিয়ে ভোট চান। পরে একে একে বিজিএমইএর সদস্য ভোটারদের কাছে গিয়ে প্যানেলের পক্ষে ভোট চান। ফোরাম প্যানেলের নেতারা বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকার অবস্থিত বিকেএমইএ অফিসে গিয়ে প্রচারণা চালান।

 এ সময় প্যানেলের নেতা মাহমুদ হাসান খান বাবু বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ বিজিএমইএর সদস্য বিভিন্ন ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।

এ সময় বিজিএমইকে আরও গতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্যানেল নেতা বাবু বলেন, বিজিএমইএর সদস্যরা একটি স্বচ্ছ  নির্বাচন দেখতে চান। যাতে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেন। সদস্যদের এই চাওয়াকে সম্মান প্রদর্শন করেই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি বা ভোটে এসেছি। সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে ভোট দেবেন। সদস্যরা যদি আমাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন তবে আমরা বিজিএমইএকে একটি জবাবদিহিমূলক সংগঠনে পরিণত করব। বিজিএমইএ হবে সব ব্যবসায়ীর সংগঠন।

বাবু আরও বলেন, যাদের এসএমই আছে তাদের সংগঠন, যাদের মাঝারি ফ্যাক্টরি বা বড় ফ্যাক্টরি সবার সংগঠন হিসাবে এটি কাজ করবে। এটা আমাদের প্রত্যাশা। সরকারের সঙ্গে আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে দেনদরবার করব, সেটা ব্যক্তিস্বার্থে করব না, সব সদস্যের স্বার্থে করব। এটিই আমাদের মূল স্লোগান। 

আগামী ৩১ মে ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে ভোটগ্রহণ হবে। এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ৮৬৫ ভোটার ভোট দেবেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৫৬১ এবং চট্টগ্রামে ৩০৩ জন। ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে দুটি প্যানেল থেকে মোট ৭০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।