Logo
Logo
×

সারাদেশ

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি অর্ধেকও, অনিয়মের অভিযোগ

Icon

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি অর্ধেকও, অনিয়মের অভিযোগ

স্কুলের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট। কথা ছিল  ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি অর্ধেকও। এছাড়া স্থাপনা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে। ঘটনাটি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, পাঁচতলা বিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের ইট, ময়লাযুক্ত বালু ও মরিচা ধরা রড।

জানা গেছে, ২০২৪ সালে চার কোটি ৮৩ লাখ ২৩ হাজার ১৪৪ টাকায় এ প্রকল্পের কাজ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কেবি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড রাকিব এন্টারপ্রাইজ। কাজের মধ্যে আছে ৫ তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, বিদ্যালয়ে স্যানিটারি, পানি সরবরাহ ও অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক কাজ। এ প্রকল্পের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিল। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজের অর্ধেকও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মাত্র তিনতলা পর্যন্ত ছাদ দিয়েছে তারা।

বিদ্যালয়টির অভিভাবক কমিটির সভাপতি মো. সানোয়ার হাসান সুনু বলেন, ‘বিপুল অর্থ ব্যয়ে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। ইট ও পাথর না ধুয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজে কিউরিং জরুরি, অথচ এখানে ঠিক মত কিউরিং করা হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢালাই কাজের সময় শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের একজন প্রকৌশলী সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তাদের দেখা যায়নি।অনেক সময় রাতের অন্ধকারে ফ্রি ষ্টাইল ঢালাই কাজ করা হয়েছে।’

 

জগন্নাথপুর নাগরিক অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক এম এ কাদির বলেন, ‘কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনের নির্মাণের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। পিলারে পানি দেওয়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি নেই।’

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইকবাল মাসুদ বলেন, ‘আমরা ভবনের নির্মাণ কাজের তদারকি করছি। নির্মাণ কাজ যাতে প্রাক্কলন অনুযায়ী মানসম্মত সামগ্রী দিয়ে করা হয় এটাই আমাদের দাবি। কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে কি না পরীক্ষা করার দায়িত্ব প্রকৌশলীর। আমরা শুধুমাত্র তদারকি করছি।’

অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত মো. তানজিল সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি এ সম্পর্কে কিছু জানি না।’ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল রাকিব বলেন, ‘এখানে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। আমরা শিডিউল অনুযায়ী কাজ করি। নির্মাণ শ্রমিকদের ভুল থাকতে পারে। তবে ইচ্ছা করে কোনো অনিয়ম করে না।’

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী ইসফাক উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নির্মাণ কাজে অনিয়ম হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম