Logo
Logo
×

সারাদেশ

মোটরসাইকেল জব্দ করা নিয়ে থানায় হামলা-ভাঙচুর, গ্রেফতার ৯

Icon

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ০৫:০১ পিএম

মোটরসাইকেল জব্দ করা নিয়ে থানায় হামলা-ভাঙচুর, গ্রেফতার ৯

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মোটরসাইকেল জব্দ করাকে কেন্দ্র করে নড়িয়া থানায় হামলা চালানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, এ হামলায় জড়িত বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় ভাঙচুর করা হয়েছে থানা কমপ্লেক্সের দুটি কক্ষ। মারধর করা হয় এক পুলিশ কনস্টেবলকে। আহত পুলিশ সদস্য মো. বিল্লাল বর্তমানে রাজধানীতে চিকিৎসাধীন।

থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে তোলা হয় আদালতে। এ ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- খাইরুজ্জামান শেখ, আপন মাদবর, বিশাল হাওলাদার, উজ্জল হাওলাদার, সোহাগ মোল্যা, হাসান মোল্যা, সম্রাট শিকদার, রাজন মাদবর ও নুর মোহাম্মদ নুরু।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে আনা হয় নড়িয়া থানায়। বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেলগুলো ছাড়িয়ে নিতে থানায় আসেন স্থানীয় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী। এ সময় তারা মোটরসাইকেলগুলো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এর জেরে মোটরসাইকেলগুলো ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে থানায় হামলা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

নড়িয়া থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ঘড়িষার এলাকায় কতিপয় যুবক সুমাইয়া নামের যুবতীকে অপহরণ করতে গেলে টের পেয়ে স্থানীয়রা ধাওয়া করে। তখন তিনটি মোটরসাইকেল ফেলে ওই যুবকেরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।

রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার সুমাইয়ার মা থানায় অভিযোগ করতে এলে ওই যুবকরা তাকে ধাওয়া করে। তিনি থানায় আশ্রয় নিয়ে পুলিশের সাহায্য চান। এ সময় পুলিশ যুবকদের তাড়িয়ে দেয়। কিছু সময় পর কয়েকজন যুবক থানায় এসে ওই মোটরসাইকেল তাদের বলে দাবি করে এবং সেগুলো দিতে বলে। পুলিশ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায় যুবকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তাদের ঠেকাতে গিয়ে বিল্লাল নামে এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। পরে হামলাকারীদের মধ্যে ৯ জনকে আটক করা হয়।

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় এসআই আল আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আটককৃত ৯ জনকে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম